• Uncategorized

    করোনা ভাইরাসের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বাড়ছে শিশুশ্রম

      প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:১৮:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    নাহিদ সুমন – জীবননগর চুয়াডাঙ্গাঃ

    করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শিশুশ্রম বাড়বে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পৃথিবীর বহু মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে নেমে আসবে। ফলে তারা শিশুদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। এতে জীবন ও জীবিকার জন্য বহু শিশুকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে।

    বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১৫২ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৭২ মিলিয়ন শিশু বিপজ্জনক কাজে জড়িত। বাংলাদেশে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন শ্রমে জড়িত।

    বর্তমানে করোনা কালিন সময় চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সারাদেশ ব্যাপি শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু/কিশোর শ্রমিকের সংখ্যা। প্রাইমারী ও হাইস্কুলের কোমলমতি শিশু/কিশোরা স্কুল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন কর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, যেমন, হোটল,মুদিখানায় ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কসপে রাজমিস্ত্রীর যোগালে,পাখী ভ্যান,গার্মেন্টেসে, ইজিবাইক ইত্যাদি কর্মে নিযুক্ত হয়ে পড়েছে যাদের বয়স,১২/১৩ বছরের বেশি নয়। যা ভবিশ্যাৎ প্রজন্মকে তার দায়ভার বহন করতে হবে।

    বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই শিশু/কিশোর শ্রমিকের আইন রয়েছে কিন্তু কে শুনে কার কথা,সাধারন জনগন আইনকে পদদলিত করে অল্প টাকা দিয়ে শিশু/কিশোর শ্রমিক দিয়ে কাজ করাছে যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী।

    এ দিকে শিশু/কিশোরদের পরিবার ও অভাবের কারনে তাদের সন্তানদের কাজে দিচ্ছে,যার ফলে একটি শিশুর ভবিশ্যৎ এ ভাবেই নষ্ট হচ্ছে,।তেমনি একজন কিশোর নাম সজিব, গ্রামঃ নারায়ণ পুর,বয়স বারো রাজমিস্ত্রীর যোগালে হিসাবে কাজ করছে। সজিব কে জিজ্ঞাসা করায় সে বলে “স্কুল বন্ধ থাকায় রাজমিস্ত্রীর যোগালে হিসাবে কাজ করছি, আমার বাবা,মা কিছুই বলে না,বরং অভাবের মধ্যে বাড়তি যে টাকা আসে তাই ভাল”।

    শিশু/কিশোর শ্রমিকের সাংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ, কি একমাত্র করোনা ভাইরাসই দায়ী,না সমাজের বিত্তবান, বা সমাজের দায়িত্ববান ব্যাক্তিরাও দায়ী, না অভাব নামের নিষ্ঠুর নিয়তী দায়ী প্রশ্ন রইল পাঠকের কাছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ