• স্বাস্থ্য

    করোনর টিকা এক জেলায় ৯৯%, আরেক জেলায় ৪%

      প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:৫৮:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানে জোর দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামীকাল বুধবারের পর টিকা ছাড়া সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। গত ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হলেও বিভিন্ন জেলায় টিকাদানে অসমতা লক্ষ করা গেছে। অনেক জেলায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হলেও কোনো কোনো জেলায় টিকাদান এখনো ১০ শতাংশও পার হতে পারেনি।

    গত রবিবার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানের তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী এক কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। প্রথম ডোজ নিয়েছে প্রায় ৪৪ লাখ, দুই ডোজ নিয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ জন। মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জন শিক্ষার্থীকে। এখনো টিকা নেয়নি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী।

    সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে বাগেরহাট জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্মীপুর জেলায় টিকা নিয়েছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মাদারীপুর ৮২ শতাংশ, জামালপুর ৮১ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম টিকা নিয়েছে নরসিংদী ও লালমনিরহাট জেলায় ৪ শতাংশ করে। ঠাকুরগাঁওয়ে টিকা নিয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গায় ৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। ঢাকায় টিকা নিয়েছে ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

    এ ছাড়া ছয় জেলায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ, সাত জেলায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ, চার জেলায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ, চার জেলায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ, ১০ জেলায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, ১১ জেলায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এবং ১২ জেলায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে।

    তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ মাসের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। সেখানে ৩৯৭ উপজেলায় আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শতভাগ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানের নির্দেশনা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি।

    নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জেলায় যে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকাদানের কথা বলছেন, তা সঠিক নয়। জেলার দুই লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আমরা শুরুতেই ২৪ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছি।’লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকাদানের জন্য যে ব্যবস্থাপনা দরকার, তা আমাদের ছিল না। আশা করছি, আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকাদান কার্যক্রম শেষ করতে পারব।’

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ