• Uncategorized

    কক্সবাজার সদরের খুরুলিয়া সুতারচর এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারী রোহিঙ্গা নুরুল আমিন প্রকাশ ফলো ।

      প্রতিনিধি ২০ মে ২০২১ , ৩:০৩:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    পারিবারিক ইয়াবার সিন্ডিকেট তৈরী করে তারা দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবার কারবার চালিয়ে যাচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই। কক্সবাজার প্রশাসনের রদবদলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা নুরুল আমিন এর সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে বেঁচে নেয় টমটম চালানোর রাস্তা। ইয়াবা একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যেতে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে নিজস্ব পাঁচ টি টমটম।

    এলাকা বাসীর অভিযোগ, রোহিঙ্গা নুরুল আমিন খরুলিয়া সুতারচর এলাকায় এসে ছুরুত আলমের বাড়ীতে বসাবাস শুরু করেন। সে সুবাদে ছুরুত আলমের মেয়ের সাথে প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করে শামসুন্নাহারকে। তারপর রোহিঙ্গা নুরুল আমিন হয়ে যায় এনআইডি কার্ড নিয়ে বাংলাদেশী নুরুল আমিন। বনে যায় খরুলিয়ার শীর্ষ ইয়াবা কারবারী। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা এনে ছড়িয়ে দেয় সারা দেশে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা নিয়ে আসতে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাসিন্দা নিজের বোন ও বোন জামাইকে। তারা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার সুতারচরে।

    সুতারচর থেকে রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের বউ শামসুননাহারের ভাই আব্দুল মালেক, পিতা-ছুরুত আলম, আব্দুল মান্নান পিতা- ছুরুত আলম ঢাকায় ইয়াবা আদান প্রদান করে এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে ইয়াবা পৌছে দেওয়া হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন এবং তার বউয়ের ভাইদের আলাদা ইয়াবার সিন্ডিকেট রয়েছে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন ছাড়া সকলের রয়েছে সারা দেশ জুড়ে একাধিক মামলা।

    দৈনিক আলোকিত উখিয়া এর অনুসন্ধানী টিম দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে জানতে পারে যে, রোহিঙ্গা নুরুল আমিন ইয়াবার কারবারে জড়িত হয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। ইয়াবার কারবার করতে গিয়ে সে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁচে নেয় খরুলিয়া এলাকার একজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারী ছুরুত আলমের দুই ছেলে আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মালেককে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন ইয়াবা কারবারীর বোন শামসুননাহারের প্রেমে পরে এবং সর্বশেষ তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিলেও আব্দুল মালেক ও আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। পারিবারিক ইয়াবার সিন্ডিকেট তৈরী করে রোহিঙ্গা নুরুল আমিন, তার বউ শামসুননাহার ও তার ভাইয়েরা সুতারচর এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারীর স্থান দখল করে নিয়েছে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের বোন চট্টগ্রামে ইয়াবা চালান দিতে গিয়ে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে আরেক বোন ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার হয়। নুরুল আমিনের আপন দুই বোন বর্তমানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা কারাগারে ইয়াবার মামালয় বন্দি আছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের স্ত্রী সামশুন্নাহার ও তার ভাই আব্দুল মালেক এবং আব্দু সালাম সহ জড়িত হয়ে তারই আপন ভাই আব্দুল খালেককে হত্যা করে ২০১৬ সালে। সেই আব্দু খালেককে মেরে তারা খোলা মাঠে চালাচ্ছে ইয়াবার কারবার। এলাকার বেকার যুবকদের জন্য খোলা হয়েছে আলাদা ইয়াবার আস্তানা। সেখানে কোন বাধা ছাড়া ইয়াবা সেবন করা যায়। প্রতিদিন রাতে তার বাড়িতে বসে জুয়ার আসর মদের আয়োজন। সেখানে থাকেন চেনা কিছু মুখ। যাদের কোনকিছু বলতে সাহস পাইনা এলাকাবাসী। ডজন খানেক মাদক মামলার আসামি আব্দুল মালেক সেই ইয়াবার আস্তানা নিয়ন্ত্রন করেন। এ ব্যাপারে আব্দুল মালেকের কাছে জানতে অনুসন্ধানি টিম সেখানে উপস্থিত হই। কিন্তু আব্দুল মালেক বলে আমি কোনকিছু পরোয়া করিনা। সবকিছু কিভাবে ধরে রাখতে হই জানা আছে আমার। এলাকার সচেতন মহল দাবি তুলেন এই রোহিঙ্গা নুরুল আমিন অধরা হলেও তার শ্যালক ডজনখানেক মাদক মামলার আসামি আব্দুল মালেককে ক্রসফায়ার দেওয়ারও দাবি ওঠে। ওঠতি বয়সি তরুনদের ইয়াবার ছোঁয়া লাগিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই রোহিঙ্গা নুরুল আমিন প্রকাশ ফলো।

    অনুসন্ধানপূর্বক আরও জানা যায় যে,রোহিঙ্গা নুরুল আমিন খরুলিয়ার সুতারচরে গড়ে তুলেন ইয়াবার জন্য নিরাপদ স্থান। নিরাপত্তার জন্য টমটমট চালানোর বেশ ধরা রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের বাড়ির চার কর্ণারে আছে চারটি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যমরা।
    এলাকাবাসী আরও বলেন, ছুরুত আলমের পরিবারে একসময় অভাব- অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে তারা বিলাসী জীবন-যাপন করছে এর অন্তরালে রয়েছে ইয়াবার কারবার। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং রোহিঙ্গা নুরুল আমিন নাকি পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করেন এলাকায় এমন গুঞ্জন থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদও করতে যায় না। এলাকাবাসী কক্সবাজার জেলার নতুন পুলিশ সুপার জনাব শেখ মুনির গিয়াস মহোদয়ের এর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের মাদক সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরার জন্য অনুরোধ করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ