• Uncategorized

    ওয়াহিদা খানমের উপর হামলাকারি প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার- ৩

      প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৬:০০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

    শরিফা বেগম শিউলী -রংপুর প্রতিনিধিঃ

    রংপুর র‍্যাব-১৩ কর্তৃক দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের উপর হামলার চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ ৩ জন গ্রেপ্তার।

     

     

    আসামীগণ হলেন, ১. মোঃ আসাদুল হক (৩৫), পিতা- মোঃ আমজাদ হোসেন, সাং- সাগরপুর, থানাঃ ঘোড়াঘাট, জেলাঃ দিনাজপুর।,

    ২. মোঃ নবিরুল ইসলাম (৩৪) পিতা-মৃত ফরাজ উদ্দিন, ৩. শ্রী সান্টু কুমার বিশ্বাস (২৮) পিতা- শ্রী খোকা চন্দ্র কুমার বিশ্বাস, উভয় সং- চক বাবুনিয়া বিশ্বনাথপুর, থানা- ঘোড়াঘাট, জেলাঃ দিনাজপুর।

     

    (৪ সেপ্টেম্বর,২০২০) শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায়  রংপুর র‍্যাব-১৩ সদর দপ্তরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

     

     

    সংবাদ সম্মেলনে  আসামি আসাদুল হকের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক

    জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব শুরু থেকেই এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার ভোরে হিলির কালীগঞ্জ থেকে আসাদুলকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দিনভর অভিযান চালিয়ে নবিরুল ও সান্টু কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে আসাদুল চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় যান বলে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে নবিরুল ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথায় আঘাত করেন।

     

     

    তিনি বলেন, আসাদুলের ভাষ্য অনুযায়ী চুরির উদ্দেশ্যেই তারা ইউএনওর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় এই হাতুড়িপেটার ঘটনা ঘটে। তবে আমরা আরও সময় নিয়ে গভীর তদন্ত করে এই ঘটনার মূল মোটিভ জানার চেষ্টা করছি।

     

    এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসি দদদটিভি ফুটেজে লাল গেঞ্জি পরিহিত ব্যক্তি হিসেবে আসাদুল নিজের বলে স্বীকার করে। তার বক্তব্য অনুযায়ী লাল গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে অপর দুজন নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেফতারে অভিযান চালাই। তারা ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করলেও পরে তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হই। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নবিরুল।

     

    তিনি আরো বলেন, এখনও ছায়া তদন্ত চলছে। ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনো কারণ আছে কি-না তা জানতে আরো সময় লাগবে। অভিযুক্তদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমসহ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়।

     

     

    তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০) ও নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮)।

     

     

    প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ