• রাজশাহী বিভাগ

    এশিয়ান ফোক অডিশনে টপ টেনে জায়গা করে নিয়েছে আদিবাসী যুবক মাথিয়াস সরেন।

      প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২২ , ৫:৪৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহ আলম-ক্রাইম রিপোর্টার:

    বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এশিয়ান ফোক গানের অডিশন ২৮ শে মার্চ রোজ সোমবার রাজশাহী বিভাগের চারটি জেলা নওগাঁ নাটোর রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে রাজশাহী শিশু একাডেমিতে ৬০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম রাউন্ডে ৩০ জনকে বাছাই করা হয় ৩০ জনের মধ্য হতে টপ টেন বাছাই করেন বিচারক প্যানেলের চারজন বিচারক সেখান হতে প্রথম পর্যায়ের ৬ জন এবং ডেঞ্জার জোন হতে ৪ জনকে বাছাই করা হয়। এই টপ টেনে পত্নীতলা উপজেলার পশ্চিম ডাঙ্গাপাড়া আদিবাসী পাড়ার মাথিয়াস সরেন নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী টপ টেনে জায়গা করে নেয় আনুমানিক ১০ বছর আগে মাথিয়াস এর বাবা শ্রী বিমল সরেন দেহত্যাগ করেন সে মাথিয়াস সরেন ও সজল সরেন এবং তার মা শ্রীমতি দিপালী টুডুদের রেখে যান। অসহায় নিঃস্ব পরিবার মাথিয়াস পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে গোটা পরিবারের দায় তার ঘাড়ে এসে পড়ে শুধুমাত্র বাড়ি ছাড়া নেই বলতে কিছুই ছিল না। ছোট ভাই সজল সরেন খুব ছোট হওয়ায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসাবে মাতিয়াস সরেন দিনমজুর হিসাবে কাজ করতে শুরু করে। এভাবে দিন চলে যায় কিন্তু তার ভিতরে গানের জগত সব সময় তাকে আন্দোলিত করতে থাকে। কারণ তার রক্তে রয়েছ গান তার বাবার হাত ধরে কিছুটা সময় তালিম নেয়ার সুযোগ হয়েছিল কিন্তু বাবা মারা যাওয়ায় সে পথ থেকে বন্ধ হয়ে যায় পরিবার পরিচালনার কারণে। ঠিকমতো তালিম নেয়ার মত সময় নেই বললেই চলে। এভাবেই গানের জগতে তার পথ চলা শুরু হয় উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সময় এবং সুযোগ করে অল্প কিছু গান গাওয়ার চেষ্টা করে এই আদিবাসী যুবক। আস্তে আস্তে তার সুপ্ত প্রতিভা ফুটে উঠতে থাকলে প্রথম অবস্থায় পত্নীতলা উপজেলার নির্বাহি অফিসার লিটন সরকারের নজরে পড়েন। এভাবে কিছুদিন চলতে থাকায় বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সরকারি এই কর্মকর্তা এবং গানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন যা আজও চলমান রয়েছে। বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার ফলে গানের দিকে মনোযোগ দিতে পারে এভাবে যাত্রা শুরু। কিছুদিন পূর্বে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টেলিভিশন এশিয়ান ফোক নামে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। এশিয়ান টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ বাংলা ফোক গান টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তৃণমূল পর্যায় থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগীদের গান গাওয়ার সুযোগ করে দেয়। এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি শাহ আলম পোরশা উপজেলা প্রতিনিধি দায়িত্বপ্রাপ্ত পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলা উক্ত অডিশনে আবেদন করার কথা জানালে সম্মত হয় ফোক গানের জন্য। সেই সূত্র ধরে গত ২৮ শে মার্চ বিভাগীয় শিশু একাডেমী রাজশাহীতে সকাল দশটা হতে প্রতিযোগিতার অডিশন শুরু করেন ব্যুরো‌ চীফ রাজশাহী বিভাগ আক্তার হোসেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে সাংবাদিক সামিরা ইসলাম। এই অডিশন থেকে প্রাপ্ত দশজন কে ইয়েস কার্ড প্রদান করেন বিচারক মন্ডলী প্রথম দশজনের তালিকায় নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হয় আদিবাসী যুবক মাথিয়াস। উক্ত সংবাদে ডাঙ্গাপাড়া মোড়ের স্থানীয় জনগণ ও দোকানদার গণ আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেন চা স্টল দোকানদার ডিএম বাবুল হোসেন মুদির দোকানদার রানা ও রতন সহ বেশ কয়েক জন সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন মাথিয়াস এর পক্ষ হতে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন তার মা শ্রীমতি দিপালী টুডু। উক্ত অডিশনে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে একমাত্র আদিবাসী যুবক মাথিয়াস ইয়েস কার্ড পায়। উক্ত বিষয়ে কথা বললে নওগাঁ জেলার স্টাফ রিপোর্টার উত্তাল মাহমুদ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান এশিয়ান টেলিভিশন এর পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এই অসহায় যুবক মাতিয়াস এর জন্য।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ