• Uncategorized

    এমসি কলেজে গণধর্ষণ, ধর্ষক রনির বিচার চান হবিগঞ্জবাসী

      প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:১৪:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানজিলা আফরিন লিজা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার অভিযুক্ত ৬ ছাত্রলীগ নোতার পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মাঝে একজন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাগনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মাহবুবুর রহমান রনি।

    যদি ও দীর্ঘদিন ধরে কলেজে কমিটি না থাকার কারনে সে সহ অন্যদের কোন পদ- পদবী নেই। কিন্তু কলেজের রাজনীতি এসব নেতারা সক্রিয় ছিলেন।

    রনি শায়েস্তাগঞ্জ একাডেমি থেকে এস এম সি পাস করে শাবিপ্রবিতে ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স করে এমসি কলেজে স্নাতকোত্তর করছে। লেখাপড়ায় মেধাবী হলেও ছোট বেলা থেকেই ছিল উগ্র মেজাজের। তার পিতা ও অন্য দুই ভাই সহজ সরল প্রকৃতির হলেও তাদের কিছুই পায়নি। এলাকায় এলে ছাত্রলীগের প্রভাব দেখাতো।

     

    জানা গেছে প্রতি মাসে লাখ টাকা বাড়িতে দিত রনি। গত ঈদে ৩০ হাজার টাকার পোশাক কিনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল রনি। তার ঘরে এখনো ২৫ জোড়া জুতা রয়েছে দামি ব্যান্ডের। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে তার দাপট ছিল শায়েস্তাগন্জে। কিছুদিন আগে ২ লাখ টাকা দিয়ে মোটর সাইকেল কিনেছিল, যা দিয়ে সিলেট আসা যাওয়া করত।

    জনি ও সানি নামের দুই ভাইয়ের মধ্যে সেই বড়। পিতা শাহ জাহাঙ্গীর বিভিন্ন মাজারপ্রেমী ছিলেন। ফলে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় রনি। সে সিলেট থেকে চাকরি বিহীন মোটা অংকের টাকা বাড়ি দিত। দোকান পাঠ ও রাস্তাঘাটে অবৈধ টাকার গরম দেখাতো।

    শায়েস্তাগঞ্জের এক প্রভাবশালী আঃলীগ নেতার সাথে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এলাকার কোনো সভা সমাবেশে উপাস্থাপক হিসেবে হাজির থাকত। সুন্দর বক্তব্য দিয়ে লোকদের আকৃষ্ট করতো।পারিবারিকভাবে তার বাবা চাচাদের সাথে আশেপাশের কারো ঝগড়া বিবাদ লাগলে সে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাওয়া করত। এ ছাড়া এলাকার মেয়েদের ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    ঘটনার পর থেকে সে সহ অন্যরা সবাই পলাতক রয়েছে। পুলিশ সে ও তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরণী তার স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাহিরে বার হন। এসময় কয়েকজন যুবক জোরপূর্বক তরুণীকে তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ