নিউজ ডেস্কঃ
২৫ আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা পরিবারের
২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে মারধর ও পিটিয়ে হত্যার পর কেটে গেছে দুই বছর এক মাস ২১ দিন। আজ রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন। রায়ে ২৫ আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছে পরিবার।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরারকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন আদালত। ৫ অক্টোবর আবরারের বাবার সাক্ষ্য নেওয়ার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ বছরের ৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৪ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।
আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যাদের নির্যাতনে আমার ছেলে চলে গেল, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আশা করি, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সবার কাছে একটা বার্তা যাবে, যাতে করে আর ভবিষ্যতে কেউ কোনো মায়ের বুক খালি করতে চেষ্টা না করে।’ আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারী সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।’
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণে, সিসি টিভি ফুটেজসহ সব ডকুমেন্টসের মাধ্যমে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.