- আরও
প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২০ , ৫:২০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না-স্টাফ রিপোর্টারঃ
নন্দিপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।ঘটনার বিবরণে জাননা যায় গত (২০.০৭.২০২০)ইং বিকাল ৪.৩০ টায় খিলগাঁও থানার নন্দিপাড়ার ১০৭১ দাগের বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা জনাব আইয়ুব আলীর বাড়িতে বিল্লাল হোসেন এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালায় , ভাংচুর ও আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার গলায় থাকা প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
আইয়ুব আলীর বাসার সাথে তার এবং তার আত্মীয় বিল্লাল হোসেন এর যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা গরুর খামার ঘিরে। বিল্লাল হোসেন একটা ক্ষুদ্রঋণ ঋণদান সমিতি চালান।
একারণে মাঝে মাঝেই ঋণ গ্রহীতাদের সাথে বিল্লালের ঝামেলা লেগেই থাকে। এমনকি সে অনেক সময় লোকজন ধরে এনে উক্ত গরুর খামারের মধ্যে বেঁধে রাখে এবং অত্যাচার করে। এতে অনেক সময় পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা এসে জনাব আইয়ুব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে।
এতে করে আইয়ুব আলী সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হলে তিনি তাঁর ব্যবসায়ীক অংশীদার বিল্লালের এহেন কার্যকলাপ বন্ধ করতে বললে বিল্লাল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে এই ঘটনা ঘটায় বলে আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়া দাবী করেন।এ ঘটনায় আইয়ুব আলী,তার কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়া আহত হন এবং তার নাতনি ??। আহত ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে ঢামকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিল্লাল হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত জব্বার মিয়া কে প্রধান আসামী করে ৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬৭/৩৪৫, তাং ২১.০৭.২০ইং,খিলগাঁও থানা। অন্যান্য আসামীরা হলেন আমির হোসেন (৩৫), পিতা – ঐ, মুক্তা আক্তার (১৯), স্বামী- বিল্লাল হোসেন, ফজর আলী (৬০), পিতা – মৃত জব্বার মিয়া, আফসার উদ্দিন আফসু (৩৭), পিতা – আঃ রশিদ সরকার, আঃসত্তার (৪৫),পিতা- মৃত হযরত আলী, মোঃ আলমাস (৫০), পিতা-মৃত জব্বার মিয়া এবং জেসমিন আক্তার (৪৫),স্বামী-আলমাস।
এদিকে থানায় মামলা করায় উক্ত আসামীরা বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে, এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে আজিজুলকে সমর্থন না করায় একই এলাকার বেবি এডুকেশন এর (প্রধান শিক্ষক) জহিরুল ইসলাম চরম বিপাকে পড়েন। যার বিস্তারিত দৈনিক নয়া দিগন্ত, ০১ জুন ১৯ এ প্রকাশিত হয়েছে।
