আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায় যে,ফারিয়া আক্তার মিম(২৯) স্বামী : মোঃ রবিন হোসেন। আড়ুয়াপাড়া কলোনিতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযুক্ত
১-জয়(২৭) পিতাঃ রতন।
২-সজিব(২৬) পিতাঃ মৃত মিলন।
৩-বাপ্পি (২৭) পিতাঃ পাপ্পু।
৪-উত্তম (২৫) পিতা:কমল সর্বসাং আড়ুয়াপাড়া।

দীর্ঘদিন ধরে ফারিয়া আক্তার মিম নামের ঔ নারীকে উ উত্যক্ত,কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।ঔ নারী প্রস্তাব প্রত্যাখান ও এলাকার মানুষদের কাছে বিচারের জানান ভুক্তভোগী।

তার সুত্রধরে গতকাল আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:৪৫ মিনিটের সময় বাদী ফারিয়া আক্তার মিম বাসায় একা থাকার খবর শুনে ঔ নারীর বাড়িতে আক্রমন চালিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা ও মহিলাকে মারধর করে।
তার ঘরে থাকা সোনার গহনা ও নগদ টাকা লুট করে। পরে নারীর চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আসামীগন পালিয়ে যায়।

পরে এলাকার বাসীর সহযোগিতায় ঔ মহিলাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া। নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের প্রমান পাওয়া যায়।এবং উক্ত নারীর বাম হাত ভেংগে যায়। উক্ত ঘটনার ২৪ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। এবং ঔ নারীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে মামলা না করার জন্য।

ঐ নারী জানান আসামীরা অনেক ক্ষমতাশীল হওয়ায় আমাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধর করলেও আমার ব্যাপারে মুখ না খুলতে এবং মামলা না করতে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এবং আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানায়।

এলাকাবাসী জানায় জয় সজিব দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যাবসা করে আসছে। এলাকার প্রতিটা যুবতী মেয়ে তাদের আক্রোশের স্বীকার হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। জয় সজিবের মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সাধারন মানুষের দাবি এদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সেই সাথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাননীয় সংসদ মাহাবুবউল আলম হানিফ ও সদর উপজেলা চেয়্যারম্যান আতাউর রহমান আতার কাছে এই সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।