প্রতিনিধি ২২ মে ২০২১ , ৪:১৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
যে বয়সে তাদের পড়াশোনা , খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা অথচ সে বয়সের আজ ভিন্ন চিত্র। শিশু থেকে শুরু করে তরুণ যুবক সকলের হাতেই এখন স্মার্টফোন। লকডাউনে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় রংপুরের তরুণরা বেছে নিয়েছে অনলাইন গেমস।ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ বেশ কিছু গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে রংপুরের তরুণসমাজ। দিন রাত এক করে সময় পেলে শুরু করে এ খেলা। রাস্তা, ঘাটসহ আনাচে-কানাচে যেকোন জায়গায় লক্ষ্য করলে দেখায় যায় কখনো একা একা আবার কখনো দল বেঁধে গেম খেলছে কিছু তরুণ ।
সমাজিক, পারিবারিক ও দেশের প্রতি এদের কোন দায়িত্বজ্ঞান নেই। যার কারণে এদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম। এদের দেশের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই,দেশকে এরা ভাবে না,পরিবারের দিকেও নেই কোনো টান।গেমস খেলতে গেলে প্রয়োজন এম্বির,আর এম্বি কেনার জন্য প্রয়োজন অর্থ। যার কারণে ব্যয় হচ্ছে অর্থের।এই গেমসে বেশি আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। আর তরুণরা বেশির ভাগ বেকার যার কারণে এম্বি কিনতে যখন টাকায় সমস্যা হয় তখন এরা চুরি ছিনতাইয়ের দিকে বেশি ধাবিত হয়। এতে তরুণদের সাথে সমস্যায় পড়েছে তার পরিবার। এভাবেই এ গেমসের কারণে ধ্বংস হচ্ছে এদেশের তরুণপ্রজন্ম।
বেশিরভাগ স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা, এবং বেকার অবসার সময় কাটানো মানুষ। তরুণপ্রজন্ম হতাশা, বিভিন্ন তরুণ আছে যারা বেকার সমস্যায় ভুগছে তারা পাচ্ছে না চাকরি বা কাজ। এ কারণে সময় কাটানোর জন্য আসক্ত হচ্ছে এ নেশায়। অবসর,যেহেতু দীর্ঘদিন করোনাভাইরাস সমস্যার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ,তার কারণে তরুণরা অবসর সময় পার করার জন্য এ গেমস খেলছে আর এই গেমস খেলার কারণে একসময় আসক্ত হয়ে পড়ছে গেমসের দিকে।