প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৩১:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মাহাবুব আলম-নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ সদর থানায় মেয়েকে ধর্ষণ ও পূর্ণগ্রাফী মামলায় মো. উজ্জ্বল হোসেন (৪৫) নামের ওই মেয়ের বাবাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ওই মেয়ের মা স্কুল শিক্ষিকা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী থানা রানীনগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে চাকরি করেন ভুক্তভোগী ওই মেয়ের মা। তার চাকুরী করার সুবাদে প্রতিদিন সকাল ৮ টা হতে ৬ টা পর্যন্ত বাড়ির বাহিরে অবস্থান করে। আসামি প্রতিনিয়ত রাতের বেলায় ভুক্তভোগী মেয়ের মাকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ায়।
সে ঘুমিয়ে গেলে মেয়েকে তার ঘরের মধ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আসছিল। এর এক পর্যায়ে ধর্ষনের ছবি/ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে সংরক্ষন করে রাখে। পরবর্তীতে সে ভিডিও গুলো দেখিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষন করতে থাকে এবং এসব কথা কাউকে বললে সে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে মেয়েকে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে বলে জানা যায়।
এমতো অবস্থায় গত ২৩ জুলাই সকাল অনুমান ১০ টার দিকে বসত বাড়ীর পশ্চিম দূয়ারী টিনসেড ঘরে মেয়েকে বাবা পুনরায় ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বাদীনি তার মেয়ের শরীরিক ও মানসিক অবস্থা দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে বাদীনিকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। বাদীনি তার প্রতিবাদ করলে বাদীনির স্বামী গত ৪ জুন বাদীনির বাড়ীর গোসলখানায় গোপনে ধারনকৃত বাদীনির গোসলের অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তারপরও বাদীনি লোক লজ্জার ভয় উপেক্ষা করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এবিষয়ে বাদীনি বলেন, আসামী অনেক চতুর ও বদ মেজাজি লোক সে বিবাহের পড়ে থেকেই আমাকে শারিরিক ও মানষিক সহ-বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসতো, দীর্ঘদিন ধরে আমার তার চালচলন খুব একটা স্বাভাবিক লাগতোনা, তাই আমি চালাকির সাথে বিষয়টি জানতে পাড়ি এবং আমার মেয়ে আমাকে সব খুলে বলার পড়ে সমাজের কথা চিন্তা করে আসামীকে বারংবার বাধা নিষেধ করি ও আইনের আশ্রয়ের কথা বলার এক পর্যায়ে সে আমারও গোসলের ভিডিও ধারণ করে তিনি আরও বলেন আসামী নিসন্দেহে একজন অমানুষ আমি তার বিচার চাই।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ভুক্তভোগী মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ ও পূর্ণগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করলে আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।