• চট্টগ্রাম বিভাগ

    সোনাইছড়িতে পর্যটকের উপচে পড়া বীড় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পর্যটকরা

      প্রতিনিধি ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ , ১২:২৩:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    কপিল উদ্দিন জয়-বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত ভর্তি এই উপজেলাটিতে রয়েছে, নানান রকম পর্যটন স্পট, এমনি একটি পর্যটন স্পট হলো, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। অল্প দিনে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই পর্যটন স্পট টি, আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে যেতে হয় সেই পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটন স্পটে। পর্যটন স্পটটি পাহাড়ের চূড়ায় হলেও, রাস্তার পাশে হওয়াতে, দুই দিক দিয়ে আসতে পারে পর্যটকরা । রামু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হয়ে ও আসা যায়, এবং মরিচ্যা, কোট বাজার,এবং উখিয়া থেকে ও, রেজু বরইতলি হয়ে আসা যায়।

    পর্যটন স্পট টি দুর্গম পাহাড়ে চূড়ায় হলেও , সপ্তাহিক ছুটিতে কমতি নেই পর্যটকদের , দুর্গম পাহাড়ে চূড়ায় এমন হাজার হাজার পর্যটক দেখে দেখে, আনন্দে দিন পার করছেন, স্থানীয়রা এমন দুর্গম পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটন স্পটে এসে পর্যটক রা অনেক আনন্দিত,

    তবে পর্যটকরা জানান আনন্দের চেয়ে ঝুকির দিক টা একটু বেশি, কেন এমন একটি সুন্দর পর্যটন স্পটে ঝুঁকি থাকবে, জানতে হলে যেতে হবে পুরোনো ইতিহাসে, জায়গায়টি দুর্গম পাহাড় আঞ্চলে হওয়াতে বন্য হাতির সমাগম একটু বেশি, গত দুই তিন বছর আগেও এইসব এলাকায় প্রচুর বন্য হাতির সমাগম ছিল, দু এক বছরে কিছুটা কমলেও একে বারে বন্ধ হয়নি বন্য হাতির সমাগম, যার কারণেই বিশাল এক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতে হয় পর্যটকদের।

    পর্যটকরা আরো জানান, এমন দুর্গম পাহাড়ে পর্যটন স্পটটিতে, সপ্তাহিক ছুটির দিনে, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ থেকে ১০ টা পর্যন্ত, পর্যটকদের ভীড় থাকে, এমন দুর্গম পাহাড়ে প্রশাসনিক ভাবে, কোনো নিরাপত্তা, না থাকায়, পড়তে পারে কোনো বড় ধরনের, ডাকাতের সম্মোকে/কম্পরে। নই তোবা পড়তে পারে বন্য হাতির আক্রমণে, তাই পর্যটকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য অতি দ্রুত সময়ে যে কোনো পদক্ষেপ নিলে, এমন দুর্গম পাহাড়ে কোনো ভয় আকাঙ্কা ছাড়ায় আনন্দে দিন কাটবে পর্যটকদের।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    আরও খবর: চট্টগ্রাম বিভাগ

    প্রধানমন্ত্রী ঘর পাবে ভূমিহীন ১৭৯০ টি পরিবার

    দেবীদ্বার পৌর মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    লক্ষ্মীপুরের আ.লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার শোক

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    ঘনিয়ারচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    মুরাদনগরে ঘোড়াশাল এ.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৩’র ব্যাচের বন্ধুদের মিলনমেলা