প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ২:১৭:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার:
পাবনা -০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বিরুদ্ধে ১৯শে এপ্রিল ২০২২ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা শাহানা পারভীন ইভা (৪৯),পিটিশন মামলা নং – ৪২/২০২২,ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী -২০০৩) এর ৯ (১).
আদালত অভিযোগ টি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করে। পরবর্তীতে খন্দকার আজিজুল হক আরজু রীট পিটিশন করলে আদালত ৩১-০৭-২০২২ তারিখে রীট পিটিশন খারিজ করে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০-১১-২০২২ তারিখে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নিজের নমুনা প্রদান করেন পাবনা -০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা প্রদানের পর সাবেক এমপির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা, ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয় কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে পাবনা -০২ আসন সহ পাবনা জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। সে সময় অভিযুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু ও তার সহযোগীরা বিষয় টিকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের পরে সত্যতা প্রমাণিত হবে বলে দাবি জানান।
পরবর্তীতে ফরেনসিক বিভাগ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসলে গত ০৯-০১-২৩ ইং তারিখে নারী শিশু পিটিশন মামলাটি অনুসন্ধান শেষে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য স্মারক নং- পিবিআই /ঢাকা মেট্রো উত্তর ১৫৩০,তারিখ :১৫-১২-২০২২ মুলে পিবিআই হেড কোয়ার্টার্সে প্রেরণ করে। পিবিআই হেড কোয়ার্টার্স স্মারক নং-পিবিআই মামলা /২০২৩/০১/০১(৪) সিআরও (এসআইএন্ডও/ঢাকা মেট্রো) তারিখ ০২-০১-২০২৩ মোতাবেক অনুসন্ধানক্রমে সমস্ত কাগজ পত্রাদি আদালতে রায়ের জন্য প্রেরণ করে পিবিআই।
ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে ও ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের কাগজ জনসম্মুখে উন্মুক্ত হওয়ায় নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি হয় জেলা ব্যাপী। এমনকি পাবনা -০২ এর সর্বস্থানে আলোচনার মুল কেন্দ্রবিন্দু এখন এই বিষয়। এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা বলেন, সন্তান জন্ম দেওয়া দোষের কিছু না, স্বীকৃতি দিয়ে দিলেই হতো। বিষয়টি নিয়ে এতো জল ঘোলা না করে সমাধান করে নেওয়া উচিত ছিল।
এছাড়া আওয়ামী লীগের একজন সাবেক সংসদ সদস্যের এমন ঘটনা জনমনে দলের প্রতি রিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তারা। এ ব্যাপারে মামলার বাদী শাহানা পারভিন ইভা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা সন্তানের পিতৃপরিচয় না দিতে পারা বিব্রতকর। দীর্ঘ অবহেলা, ত্যাগ ও সংগ্রামের পরে এটা প্রমাণিত আমার সন্তানের পিতা খন্দকার আজিজুল হক আরজু ( ফারুক)। আমি বিজ্ঞ আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করি।