• আইন ও আদালত

    সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে স্কুলের বেঞ্চ চুরির অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৮ নভেম্বর ২০২২ , ৩:৩৫:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো আবুবকর মিল্টন-বাউফল পটুয়াখালী:

    পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত লোহার বেঞ্চ ও চেয়ার চুরি করে বিক্রি এবং তা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এঘটনা ঘটে । এমন অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানাগেছে, দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে তৈয়ব মাস্টারের ছেলে মো. নাহিদ (২০) বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত প্রায় ১টন লোহার বেঞ্চ ও টেবিল চুরি করে বিক্রি করেন। একই ইউনিয়নের ভূইয়ার বাজার ভাঙ্গারি দোকান শানু ফকির নামের এক ব্যক্তি ওই মাল ক্রয় করেন। বিক্রিত মাল নিয়ে একটি গাড়ি ভর্তি করে সভাপতির ছেলে নাহিদ মমিনপুর গ্রামের গোলাম হোসেন পুল এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয়রা আটক করতে চাইলে গাড়ির সব মালামাল পুকুরে ফেলে দেন। এসময় স্থানীয়রা ওই টমটম চালককে আটক করে। পরে ওই মালামাল উদ্ধার করে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জমা রাখা হয়।
    এ বিষয়ে টমটম চালক মো. কবির সিকদার বলেন,‘স্কুলের চেয়ার ও বেঞ্চ ভূঁইয়ার বাজারের ভাঙ্গারি দোকানদার শানু কিনে রাখে। পরে আমাকে মালগুলো অন্য জায়গায় সরাতে বলেন। আমি প্রথমে রাজি না হলে শানু বলেন, ‘তোর ভয় নাই, যারা মাল বিক্রি করছে তাঁরা তোর সাথে থাকবে।
    ভাঙ্গারি দোকানদার শানু ফকির জানান, ‘তৈয়ব মাস্টারের ছেলে আমার কাছে মাল বিক্রি করে। পরে ঝামেলা বুঝে আমি টাকা ফিরিয়ে নেই।’
    অভিযুক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন,‘এটা তুচ্ছ একটা বিষয়। আমার ছেলে ভুলবশতঃ এমন কাজ করে ফেলেছে। স্কুলের মাল ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।’
    তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন চুরি যাওয়া মাল এখনো ফেরৎ পাইনি।
    এবিষয়ে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন,‘লোক পাঠিয়ে ওই টমটম জব্দ করা হয়েছে।’
    এবিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ বলেন,‘আমি ছুটিতে রয়েছি। কর্মস্থলে ফিরে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    আরও খবর: আইন ও আদালত

    আরএমপি’র মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    দুই মামলায় ৩ ঘণ্টা পর মাহিয়া মাহি জামিন

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

    স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সংঘর্ষ-গ্রেফতার ১৭

    দেবীদ্বারে সংঘর্ষের ঘটনায় স্কুলে আসেনি শিক্ষার্থীরা