প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২০ , ৬:৪০:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোশারফ হোসেন শ্যামল-শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৬ বছর বয়সী ১০ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী । রোববার (৪ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নকলা পৌরসভাধীন কুর্শাবাদাগৈড় এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউছার আহম্মেদ।
এ ঘটনায় সুদূর রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে আগত বর মিজানুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা এবং নকলা পৌরসভাধীন কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার কনের বাবা ও ঘটককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশ বিভাগের বেশ কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ব্যাক্তির সহায়তায় এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয় । বাল্যবিবাবহ বন্ধ করার পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ বরকে ৫০ হাজার টাকা এবং কনের বাবা ও বিয়ের ঘটককে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৭০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন এবং জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। তাছাড়া মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে কনের অভিভাবকের কাছ থেকে এবং এ ধরনের কোন প্রকার অপরাধ করবেন না মর্মে বরের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এলাকার কোন ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে যেন বিবাহ না হয়, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে মেয়ের পরিবারের সদস্য ও উপস্থিতিদের মৌখিক অঙ্গীকার করান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কাউছার আহাম্মেদ।
তিনি বলেন, নকলা উপজেলাকে শেরপুর জেলার প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপজেলায় বাল্যবিবাহতো দূরের কথা, বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত কোন আয়োজনকেও বরদাস্ত করা হবেনা।
নকলায় বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত কোন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক ও বরসহ আয়োজকদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে কঠুর হুশিয়ারী দেন তিনি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ আরও জানান, বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত যেকোন ঘটনা নিরোধ করার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগন সদা তৎপর রয়েছেন।