প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ১২:৩৬:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ইউপির পালাসুতা গ্রামে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণধোলাই দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের দারোরা ইউপির পালাসুতা গ্রামে স্থানীয়দের সম্মিলিত পুলিশিং টহলে ডাকাত পরেছে সকলের নিকট সংবাদ পৌঁছালে সমস্ত গ্রাম ঘেরাও করে সন্দেহজনক ৩জনকে ধরে গণধোলাইয় দেয় আবালবৃদ্ধবনিতা। সন্দেহভাজন তিনজন হলো কাজিয়াতল গ্রামের আবদুস সালাম মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া(২৮),পালাসুতা গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ইসমাঈল(২৭) এবং অপরজন হলো সদর দক্ষিণ উপজেলার সেলিম মিয়ার ছেলে শাহজাহান(২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশকিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী গ্রামে ডাকাতের উৎপাতে ভীতি নিয়ে বসবাস করছিল সকলে। দেশীর অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে একদল ডাকাত গতকাল ছালিয়াকান্দি ইউপির বোরারচরে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়,পথিমধ্যে তিনজনকে বিছিন্ন হয়ে যায় বাকি ৫জন থেকে। তাই সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করে গ্রামবাসী। পাশেই চলমান মাহফিল দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় যেন ডাকাত দলের অপর সদস্যরা আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হয়। স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়লে তাদেরকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে ক্ষুব্ধ জনতা। ডাকাত দলের অপর সদস্যরা পালিয়ে যায় দ্রুত ফলে তাদের ধরতে ব্যর্থ হয় সকলে।পরবর্তীতে গ্রামবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় কর্তব্যরত পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা তিনজনকে।
পার্শ্ববর্তী গ্রামের মো.সালাউদ্দিন বলেন, গ্রামে ডাকাত পরেছে শুনে প্রথমে ঘর থেকে বের হইনি। পরে যখন জানতে পারি ওদেরকে গণপিটুনি দিচ্ছে তখন এইগ্রামে এসেছি ডাকাত দেখতে। সকলের মাঝে অনেক ভয়ভীতি বিরাজ করছে। পুলিশের উচিত টহল আরো বৃদ্ধি করা। মনে ভয় নিয়ে আর কতদিন এভাবে বসবাস করবো? এই গণপিটুনি দেখে আশা করি অন্য ডাকাতরা কিছুটা হলেও শঙ্কিত থাকবে ডাকাতি করতে। এলাকায় বাসী জানায়, প্রকৃতপক্ষে ডাকাত কিনা তা আগে নিশ্চিত হতে হবে। ২০১৭সালে সাভারে ডাকাত সন্দেহে ৬জনকে হত্যা করা হয়েছিল।
অহেতুক গুজব রচনা করে ডাকাত বলে মারধর শোভা পায়না। অনেকে কাজের জন্য এই এলাকায় নতুন আসে তারা রাতে বিড়ি সিগারেট খেতে বের হয়, কেউ আবার নেশা করে। তাই সতর্ক হওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ যেন কোনো নির্দোষ এর স্বীকার না হয়। মুরাদনগর থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হলে নুরু ও ইসমাইল এর মৃত্যু হয়েছে। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে শাহ জাহান।