প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ২:১৬:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
পাবনা সুজানগর খলিলপুর গ্রামের মজিবর খলিফার ছেলে মিন্টুকে গত পহেলা ডিসেম্বর কুপিয়ে হত্যা করেছে এলাকার স্থানিয় দূর্বিত্তরা । জানা যায় সাতবাড়ীয়া ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রী পূত্র মাহিম ও তামিমকে নিয়ে নিজ বাড়ী খলিলপুর গ্রামে যাওয়ার পথে নাজিরগঞ্জ বাসষ্টান্ডে সন্ত্রাসি সুমন বিশ্বাস ও সোহাগ ফকিরের হোন্ডার সাথে সামান্য ধাক্কা লাগে, ইহাতে খিপ্ত হয়ে সুমন বিশ্বাস ও সোহাগ ফকির নিহত মিন্টুর উপর হামলা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে স্থানীয় কয়েকজন লোক থামিয়ে দেন। সন্ধায় মিন্টু এবং বন্ধু জিল্লুর সাথে মোটর সাইকেলে উলাট ইসলামীয় জালসায় যাবার পথে নুরুদ্দিনপুর পাকা রাস্তার উপর মোটর সাইকেল রোধ করে সুমন, সোহাগ সহ কয়েকজন যুবক। তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরী মিন্টু ও জিল্লুর উপর আঘাত করে দূত পালিয়ে যায়, পরে স্থানীয়রা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকৎসক মিন্টুকে মৃত ঘোষনা করেন।গত ০৩/১২/২০২০ইং তারিখে মিন্টুর মা হমিদা খাতুন সুমন, সোহাগ সহ ৫ জনকে আসামি করে সুজানগর থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুদ্দোজা প্রাথমিক তদন্ত করে মামলা রুজু করেন। সুজানগর থানা মামলা নং- ১৭৯/২০জি/আর, থানায় মামলা প্রায় ৩ মাস হলেও আসামীরা ঘুরে বেরাচ্ছে পুলিশের নাকে ডগায়, অন্য দিকে নিহত মিন্টুর মা মামলার বাদী হামেদাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান পূত্রহারা মা হামেদা। সুমন,সুহাগ কোল শুন্য করেছে জন্মদাতা এক মায়ের, মাহিম ও তামিম অবুঝ দুই শিশু বাবার আদর, ভালবাসা থেকে বঞ্চিত সারাটি জিবন। আর যেন কোন মায়ের আত্বনাথ না দেখতে হয় আর যেন কোন শিশু বাবার আদর ভালবাসা থেকে বঞ্চিত না হয় সকল আসামীদেরকে আইনের আওতায় এনে আসামীদেরকে সর্বচ্চ সাজা নিশ্চিত করার দাবি জানান এলাকাবাসী। এ দিকে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) তদন্ত হাদিউল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন ইতিমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে শীগ্রই বাকি আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হবে।