প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২১ , ১:২৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা’র টাকা আত্মসাত
৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে নিষ্পত্তি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ৪ লাখ টাকা দিয়ে আপোষে নিস্পত্তি করা হয়েছে।
চৌমহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের লতিফ হোসেনের স্ত্রী আমিরুন্নেছার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আমির হোসেন ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট সম্প্রতি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাবক্সপুর গ্রামের ফরিদ হোসেন গত দশ বছর যাবত তার শহীদ ছেলের নামে যে ভাতা সরকার দেয় সেই ভাতার টাকা থেকে ফরিদ হোসেন অর্ধেক নিয়ে যায়। আমিরুনেছা লিখিত অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টেন(অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন , চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপন মিয়া , উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সেলিনা আক্তার ঘটনাটি আপোষ করতে আমিরুনেছার পরিবার ও ফরিদ হোসেন কে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বসেন। সেখানে ফরিদ হোসেন কে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাতিজা নাঈম মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেন তাদের কাছ থেকে চেক বই নিয়ে যায়। চেক বই থেকে টাকা তুলে ফরিদ হোসেন অর্ধেক টাকা নিয়ে যেত। অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টন (অবঃ) কাজী কবির , ইউনিয়নের চেয়ারম্যান , মহিলা মেম্বার সহ সবাই বসে ফরিদ হোসেন কে ৪ লাখ টাকা দিতে রায় করেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রী নুর জাহান –জানান, ফরিদ হোসন ১০/১২ বছর যাবত টাকা তুলে খাচ্ছে।আমাদের ঢর ,ভয় দেখাত কাউকে বললে তাদের টা বাতিল হয়ে যাবে।
,চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আপন মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছিল। ক্যাপ্টেন কবির ইউনিয়ন পরিষদে বসে বিষয়টি শেষ করে দিয়েছেন।
চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ গুলো সমাধান হয়ে গেছে