প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:২১:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মাধবপুরে বড় ভাইদের বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ ভাসুরের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মামলা
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছোট ভাইকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা ও পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছোট ভাই। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছাছে যে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ভাসুরদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
এলাকাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় , উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আক্তার সোলাইমান কে তার ৩ ভাই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছে। তার স্ত্রী, ছেলে কে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। এ ঘটনায় আক্তার সোলাইমান গত ২১ জানুয়ারী হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে আক্তার সোলাইমানের স্ত্রী মোছাঃ হেলেনা খাতুন চৌধুরী বাদি হয়ে নিজামুল ইসলাম,মঞ্জুরুল ইসলাম,মোঃ তফাজ্জল ইমলাম সহ ৪ কে আসামী কে হবিগঞ্জ নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামীর ৩ ভাই মোঃ নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, মোঃ তফাজ্জল ইসলামের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। তাই তারা যে কোন সময় আক্তার সোলাইমানের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে। তাই তারা নিরাপত্তা হীনতায় আছে।
আক্তার সোলাইমানের মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, দাদার সম্পত্তি থেকে তার বাবা কে বঞ্চিত করা হচেছ। মোঃ নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, মোঃ তফাজ্জল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় তার বাবা ও ভাইদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। এ বিষয়ে তার বাবা হবিগঞ্জ সংবাদ সম্মেলন করেছে। তার মা বাদি হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেছেন।
দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে আক্কাছ আলী জানান, শুনেছি তাদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। কিছুদিন আগে পুলিশ এসে আক্তার সোলাইমানের স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরন করেছে। দত্তপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া জানান, মঞ্জুরুল ইসলাম তার ছেলে কে বিদেশ পাঠিয়েছিল। ৪ লাখ টাকা নিয়েছিল বিদেশ নিতে। তার ছেলে বিদেশ গিয়ে অনেক কষ্ট করে। এই নিয়ে জিডি পর্যন্ত করতে হয়েছে।
পাশ^বর্তী মালঞ্চপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, কিছুদিন আগে পুলিশ এসে আক্তার সোলাইমান কে খোঁজে যায়। তারপর থেকে আক্তার সোলাইমান ভয়ে নামাজ পড়তে আাসে না। পাশর্^বর্তী মালঞ্চপুর গ্রামের বাসিন্দা ফতেকুল ইসলাম দিপু জানান , আক্তার সোলাইমানের নামে তার বাবা আলাদা কিছু জায়গা দিয়ে গেছে বলে শুনেছি। ওই জায়গাটির কাগজপত্র হয়নি। কিন্তু আক্তার সোলাইমানের ভাই তারা এখন ওই জায়গা দিতে অস্বীকার করছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার শালীস বৈঠক হয়েছে।
আক্তার সোলাইমানের ভাই মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আক্তার সোলাইমান ও তার স্ত্রী ছেলে ,মেয়েরা যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। আক্তার সোলাইমান ও তার ছেলেরা আমাদের জায়গাতে থাকা গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছেন কিন্তু সমাধান হয়নি।
ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়পক্ষ কে ডাকি। কিন্তু তারা কেউ আসে কেউ আসে না। তাই বিষয়টি সমাধান করা যায়নি।মাধবপুর থানার অন্তগর্ত তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই আতিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বতর্মানে তিনি কাশিমনগর ফাঁড়ির দায়িত্বে নেই। অভিযোগটি কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ(ইন্সপেক্টর) উত্তম কুমার দাস কে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে।