• Uncategorized

    মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ফের জলদস্যুদের তান্ডব

      প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২১ , ৪:২৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ফের জলদস্যুদের তান্ডব
    সদ্য জামিনে মুক্ত আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা মুক্ত হয়ে আবারও জলদস্যুতা শুরু করেছে !মহেশখালীর সোনাদিয়া এলাকার আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করার পর নুরুল আলম ও বেলাল নামের দুইজন আত্মসমর্পণকারী জলদস্যু নতুন জলদস্যু ডাকাত দল গঠন করে সাগরে মাছধরার ছোট ছোট বোট গুলোতে আবারও জলদস্যুতার তান্ডব শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এই জলদস্যু দলের হাতে ডাকাতির শিকার হওয়া মাঝী মাল্লারা এই ডাকাতির খবর সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন

    গত বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী ) সন্ধ্যা ৭/৭.৩০ টার দিকে মহেশখালীর সোনাদিয়ার পশ্চিম-উত্তরের ছেঁড়া খালের মুখে কক্সবাজারের ছোট ছোট দুটি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার হাত বড়শীর বোট সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়ার মোশতাকের ছেলে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যু রুবেল ও একই এলাকার আত্মসমর্পণকারী জলদস্যু নুরুল আলমের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি ডাকাতির জলদস্যুর দল কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার শামসুল আলমের সাড়ে আট হর্স পাওয়ারের একটি হাত বড়শী দিয়ে মাছ ধরার নৌকার মাঝিমাল্লাদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল নগদ ২ হাজার টাকা ও হাত বড়শী দিয়ে ধরা ১৫ হাজার টাকার মতো মাছ লুটে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    জলদস্যুরা ডাকাতি করার পর শামসুল আলমের মাছ ধরার নৌকার সাড়ে আট হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনটিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে দিয়ে বিকল করে দেয় চক্রটি।
    বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে সাগরে ভাসতে ভাসতে সোনাদিয়ার চরে এসে ভিড়ে। পরদিন শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে ঘটিভাংগা এলাকার ছোট মাছ ধরার নৌকার সহায়তায় বিকল করে দেওয়া ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ঘটিভাঙা ঘাটে আসে। দুপুরে ঘটিভাঙা ঘাট থেকে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী বোটের সাহায্যে কক্সবাজার খুরুশকূল ব্রীজের পাশের ঘাটে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাঝীমাল্লারা।

    ডাকাতির শিকার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে আবদুস শুক্কুর ও বাবু দুজন মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর রক্তাক্ত ও আহত বলে জানিয়েছেন শামসুল আলম।

    গত কিছুদিন আগে থেকে রুবেল ও নুরুল আলমের নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরার ছোট ছোট নৌকা গুলোতে নিয়মিত ডাকাতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত কয়েকদিন আগে ঘটিভাংগা এলাকার কালামিয়া প্রকাশ হালাই বহদ্দারের বিহিন্দি জালের ভোটের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়।

    বর্তমানে এই ডাকাত দলের ভয়ে কক্সবাজার শহর এলাকার জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সাহস করছেনা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ভুক্তভোগী মাছ ধরে জীবন ও জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদের আবেদন অভিযুক্ত জলদস্যুদের গ্রেফতার করে ছোট ছোট ইঞ্জিন নৌকা দিয়ে মাছ ধরাকে নিরাপদ করতে জোর দাবী জানিয়েছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ