• Uncategorized

    মহেশখালীতে ভলগেট দিয়ে নৌ-পথে লবণ পরিবহন বন্ধের দাবিতে কার্গো বোট মালিক,শ্রমিকদের  মানব- বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত

      প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৮:২৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মহেশখালীতে স্টিলবডি (ভলগেট)দিয়ে নৌ-পথে লবণ পরিবহন বন্ধের দাবিতে কার্গো বোট মালিক,শ্রমিকদের  মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। স্টিলবডি (ভলগেট)বৃহত্তর এ নৌ-যানটি হঠাৎ করে মহেশখালীর বিভিন্ন গুদিঘাট থেকে লবণ বোঝায় করে পরিবহণের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রাচীনতম কার্গো বোট মালিক, শ্রমিক ও মাঝি মাল্লারা।

    যদি ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তর ষ্টিল বডি (ভলগেট)কর্তৃক নিবন্ধন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অবৈধ বে-আইনিভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম কক্সবাজার জেলার মাঠে উৎপাদিত কালো লবণ পরিবহণ বন্ধের নির্দেশনা জারি করে।

    এ বিষয়ে উপ-পরিচালক নয়ন শীল স্বাক্ষরিত বন্দর ও পরিবহণ বিভাগ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ ফিরিঙ্গি বাজার চট্টগ্রাম জেনাল কমান্ডার বাংলাদেশ কোর্স গার্ড পূর্ব জোন চট্টগ্রামকে ২০ জানুয়ারী ২১ একটি পত্র প্রেরণ করে।

    এই পত্রের আলোকে চলতি বছরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় কোন ধরনের ষ্টিল বডি দ্বারা নির্মিত (ভলগেট) লবণ বোঝাইয়ের জন্য প্রবেশ করতে পারে না। ২৪শে ফেব্রুয়ারী  বুধবার দুপুর ২.০০ঘটিকার সময়  উপজেলা দীঘির পাড়ে মহেশখালী কার্গোবোট মালিক শ্রমিক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।এতে শ্রমিক পাশে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ একাত্বপোষন করে।

    সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-সংগঠনটির উপজেলা সভাপতি জাফর মাঝি,শহিদুল্লাহ মাঝি, ছৈয়দ করিম মাঝি,দেলায়ার মাঝি,মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, সহ-সভাপতি ছৈয়দ মোস্তফা আলী প্রমুখউক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন-বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম লবণ উৎপাদনকারী কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় (ভলগেট)প্রবেশ করে অবৈধ ভাবে পরিবহন করছে লবণ।

    ক্ষতিগ্রস্ত লবণ পরিবহনে নিয়োজিত কার্গো শ্রমিক ও মাঝি মাল্লারা জানায় মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৫০টির অধিক ছোট-বড় লবণ বোঝাইয়ের গুদি বা ঘাট রয়েছে। দীর্ঘ বছর থেকে মাঠে উৎপাদিত লবণ সাগর পথে পরিবহণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে দ্বীপের প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক।

    বিগত বর্ষা মৌসুমে লবণ ব্যবসায়ীরা কার্গো বোট মালিক,শ্রমিক ও মাঝি মাল্লাদের অগ্রিম দাদন দিয়ে কার্গো ট্রলার গুলি লবণ মৌসুমের ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। ভবিষ্যতে এই কর্ম থেকে আয় দিয়ে যাদের পরিবার পরিজন জীবীকা নির্বাহ করত তারা এখন (ভলগেট) এর কারণে বেকার হয়ে পড়েছে। ছেলে সন্তানদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

    অপরদিকে কক্সবাজার অঞ্চলে ইতিপূর্বে কোন ধরনের (ভলগেট)এর মতো নৌ-যান পরিবহনে ছিল না। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালি ইট সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ কাজে প্রবেশ করার সুযোগ নিয়ে তারা সস্তা দরে বিপুল পরিমাণ লবণ নৌ-পথে নিয়ে যাচ্ছে। মহেশখালীর প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত লবণ যেখানে কৃষকরা মজুদ রাখার সুযোগ ছিল যখন একটু ন্যয্যা মূল্য পেলে তা বর্ষা মৌসুমে বিক্রি করার সুযোগ পেত।

    (ভলপেট)এর পেটের চাহিদা পূরণে হাজার হাজার মেক্ট্রিটন লবণ দিনের মধ্যে মাঠ থেকে চলে যাচ্ছে  ঢাকাসহ দেশের অন্যত্রে। (ভলগেট)এভাবে বিপুল পরিমাণ লবণ সস্তা মূল্যে পরিবহণ দ্রুত সময়ে নিতে থাকলে কক্সবাজার অঞ্চলের বিভিন্ন নদী মোহনায় ¯’াপিত লবণ মিল মালিকরাও মাঠে উৎপাদিত লবণের দেখা পাবে না।

    ফলে মাঝারি লবণ মিল বন্ধ ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে মহেশখালী থেকে ষ্টিল দ্বারা নির্মিত (ভলগেট) এর লবণ পরিবহণ নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রসাশনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন কার্গো বোট মালিক মাঝি ও শ্রমিকরা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ