বিনামূল্যে নতুন বই পাবে মান্দার পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

 

তৌকির আহম্মেদ,মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

রাত পোহালেই নতুন বছর। নতুন বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে নতুন বই হাতে পাবে মান্দার পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। করোনাকালে ‘বই উৎসব’ না হলেও স্কুলে স্কুলে শিক্ষকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবেন নতুন বই। ইতিমধ্যে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেছে নতুন বই। বিতরণের প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে।

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় এবার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষাধিক। এর মধ্যে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৭৫ জন। বছরের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন বই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২২৩ টি। এর মধ্যে ১৮০ টি সরকারি, বাকিগুলো বেসরকারি। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে একটি করে বই। অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১২৩টি। বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

 

মান্দার কয়াপাড়া কামাড়কুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘দু-একটা বাদে বাকি বইগুলো পেয়েছি। বাকিগুলোও দু-একদিনের মধ্যে পেয়ে যাব। এবার বই উৎসব হবে না। আমরা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দেব। উৎসব হলে আরও ভালো লাগত।

সদ্য অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে এবার বই উৎসব হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বছরের প্রথম দিনই পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। সেভাবেই বই বিতরণ হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির আমরা ৭৫ শতাংশ বই স্কুলে স্কুলে পাঠিয়েছি। বাকি বইগুলোও চলে আসছে। আসামাত্রই সেগুলোও স্কুলে স্কুলে পাঠানো হবে।

মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম সেখ জানান, মাধ্যমিক পর্যায়েও বই উৎসব হবে না। তাঁরা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৫০ শতাংশ বই পেয়েছেন। সেগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সব বই দ্রুত চলে আসবে বলেও জানান তিনি।