প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৩ , ৯:২২:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ কাওছার হাবিব-স্টাফ রিপোর্টার:
নওগাঁর বদলগাছীতে হেনা কবিরাজের অপচিকিৎসায় তফিজ (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত: ব্যক্তি বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউপির মাছুদ ভিলা গুচ্ছ গ্রামের মৃত: আয়েজ উদ্দিনের ছেলে বলে জানা যায়।
৭জুলাই শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৃত তফিজকে তড়িঘড়ি দাপন করার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। এলাকার কথিত কিছু দালাল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন । খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসি জানান, একই ইউনিয়নের কলকুটি গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে কথিত কবিরাজ মোঃ এনামুল কবির(হেনা), দীর্ঘ দিন থেকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে রোগীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন । রোগীর চিকিৎসা নামে কবিরাজের এই অপচিকিৎসায় তাকে সহযোগীতা করেন কবিরাজের স্ত্রী ও তার ছেলে ফিরোজ ও খাদেম হিসাবে রোগীকে দেখা শুনা করেন দুলাল নামে এক ভন্ড বাবা ,কথিত ঐ কবিরাজ প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনা। এই কথিত কবিরাজের চিকিৎসার জন্য দুটি টিনসেটের ঘর রয়েছে। যেখানে রুগীদের থাকা খাওয়া সহ ভৌতিক আসন বসিয়ে চিকিৎসা চলে।
সেখানে কথিত কবিরাজ হেনা ঔষুধ সহ লাঠি ও বিভিন্ন উপকরণ রয়েছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছে ভৌতিক অদৃশ্য বাবা সব রোগ ভালো করে দিবে বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কবিরাজের স্ত্রী টাকার বিষয় স্বীকার করে বলেন, আসন বসিয়ে অদৃশ্য বাবা যে টাকা দাবি করে তাই রুগীর কাছে থেকে নেওয়া হয়।রোগীর মারা যাওয়ার ঐ ঘটনা স্থলে গিয়ে কবিরাজের দেখা পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মৃত তফিজের শ্বশুর আমির সরদার জানান,আমার জামাই দীর্ঘ দিন থেকে ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। পরে একজনের পরামর্শে আমার জামাই কে চিকিৎসার জন্য কবিরাজ হেনার কাছে নিয়ে যাই।কবিরাজের পরামর্শ অনুযায়ী আমার জামাইকে গত চার দিন যাবত ঐ কবিরাজের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। আজ সকাল আনুমানিক ৭ টায় কবিরাজের চিকিৎসা চলাকালে আমার জামাই তফিজ মারা যায়।
এবিষয়ে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, আমি নিজে ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলাম। ঐ কবিরাজের বেশ কিছু কবিরাজি উপকরণ সহ লাশ থানায় আনা হয়েছে।
প্রাথমিক সুরতহাল, তদন্ত শেষে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।