প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ , ৭:১০:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকারের বিরুদ্ধে সংরক্ষণের এসো দেশকে ভালোবাসি পক্ষ থেকে সংগঠনের প্রশাসনের দৃষ্টি অার্কষণ পাবনা জেলা, সুজানগর উপজেলা/থানার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়ন সহ অনেক স্থানে পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার করছে অাসছে কিছু অসাধু ব্যক্তি তাদের কে অনেক বার নিষেধ করা সর্ত্বেও পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার করছে তবে এ বিষয়ে নেই স্থানীয় জনসাধারণের মাথা কোন মাথা ব্যথা নেই তাদের কোন সচেতনতা মূলক কার্যকম এ বিষয়ে নিয়ে “এসো দেশকে ভালোবাসি” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: রবিউল ইসলাম বিভিন্ন ব্যক্তিকর্তৃক কথা বলেও অাজ পর্যন্ত কোন উপকার হয় নি বলে জানায় ‘দৈনিক অালোকিত ৭১ সংবাদ’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শিহাব অাহম্মেদ এর কাছে এবং গনমাধ্যমের সহযোগীতা কামনা করেন।
“এসো দেশকে ভালোবাসি” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: রবিউল ইসলাম কবির ভাষায় বলেন ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’। এই উপলব্ধিটা সর্বকালে সর্বদেশে একইরকম। বিধাতা আপন হাতে প্রকৃতিকে সৃষ্টি করে সেখানে এমন এক ভারসাম্য তৈরি করে দিয়েছেন যাতে এই প্রকৃতির সন্তান হিসেবে প্রতিটি প্রাণী সহজে অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় অগ্রসরমান সভ্যতা। ও মানুষের অপরিমিত বাসনার কারণে এখন প্রকৃতি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণীকুল।প্রাণীকুল প্রকৃতির অপরিহার্য অংশ এবং সম্পদও বটে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই আমাদের বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। কারণ প্রকৃতি না বাঁচলে মানুষ তার স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না।
অন্য কোন ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ধৃত, উদ্ধারকৃত বা জব্দকৃত কোন বণ্য প্রণী খাঁচায় বা আবদ্ধ অবস্থায় রাখা উহার জীবনের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ হইলে উক্ত বন্য প্রাণীকে উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ অবমুক্ত করিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে বলে জানান “এসো দেশকে ভালোবাসি” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: রবিউল ইসলাম তিনি অারও বলেন সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের জন্য জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ বা বনজদ্রব্য আহরণ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রক্ষিত এলাকার কেন্দ্রস্থলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বন বা দীর্ঘ মেয়াদী বনকে জঙ্গল হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
অভয়ারণ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বন অধিদপ্তর, বনাঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সকল পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার জন্য সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করতে পারে। ফসলের বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ এবং রাশি রাশি বৃক্ষে ঘেরা নিরিবিলি, ছায়া সুনিবিড় অসংখ্য গ্রামের সমাহার হচ্ছে আমাদের এই বাংলাদেশ।
এক সময় বাংলাদেশ ছিল বিপুল বনরাজির ভাণ্ডার। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন ও অবাধ বৃক্ষনিধনের ফলে সেই সম্পদ আজ নিঃশেষিত প্রায়। এছাড়া লাগামহীন বৃক্ষনিধনের ফলে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যাচ্ছে দ্রুত, বাড়ছে সিসার পরিমাণ, বিলুপ্ত হচ্ছে নানা প্রজাতির পক্ষিকুল ও বনজপ্রাণী। দেশে বনভূমি কমে যাওয়ায় শুধু বন্যপ্রাণী নয়, আবহাওয়ায়ও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। শীত ও বর্ষা কমে গিয়ে গ্রীষ্মের দাপট বেড়ে গেছে। শুধু দাপট নয়, গ্রীষ্মঋতু বসন্তকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে।
এই অবস্থায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বেশি বেশি করে বন সৃষ্টি করতে হবে। বন পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্যপ্রাণী নিধনের ক্ষেত্রে আইনের কঠোরতা আরোপ করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বন্যপ্রাণী নিধনের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হলে প্রথমে বন সৃষ্টি করতে হবে এবং যে সব বন আছে সেগুলোকে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হবে। বন না থাকলে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ই থাকবে না। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে সহজেই বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করা সম্ভব।
সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে বন সৃজন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল নির্মাণ করা সম্ভব। দেশ ও জাতির স্বার্থেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা দরকার। বন্যপ্রাণী যাতে নিশ্চিহ্ন হতে না পারে সেদিকে সবার নজর দেওয়া একান্ত জরুরি।বন ও বন্যপ্রাণী আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের বন্যপ্রাণী আজ হুমকির সম্মুখীন।অহরহ বৃক্ষ ও বন্যপ্রাণী নিধন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম একটি বিরাজমান পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য একটি যুগান্তকারী আইন প্রণয়ন করেছে।
তবে আইন প্রণয়নই শেষ কথা নয়, প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা তৈরি। দেশ ও জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের যুগপৎ ভূমিকা এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি জানান প্রশাসন সহ সকল বনও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রনালয় কৃর্তপক্ষের কাছে “এসো দেশকে ভালোবাসি” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: রবিউল ইসলাম অারো বলেন তিনি সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় কর্মকর্ত,সুজানগর থানা,ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে সহযোগীতা কামনা করেন।