• Uncategorized

    পটুয়াখালীর বাউফল থানার ওসি’র অনিয়মের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের নিকট সাংবাদিকের অভিযোগ।

      প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২১ , ২:৫৩:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালীর বাউফল থানার ওসি’র অনিয়মের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের নিকট সাংবাদিকের অভিযোগ।

    পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আক্রোশমূলক মিথ্যা মামলা রুজু করায়
    পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নিকট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে অভিযোগ
    করেছেন বাউফল উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক মোঃ মনিরুল ইসলাম শাহিন।

    এবিষয় পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর গত ২১ শে জানুয়ারি ২১ ইং তারিখে লিখিত একটি অভিযোগ সূত্রে থানায় যায় মোঃ মনিরুল ইসলাম শাহীন বাউফল উপজেলার ৮নং মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের মোঃ
    মোসলেম উদ্দীন মৃধার পুত্র এবং আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ এর বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি।

    উক্ত অভিযোগকারী সাংবাদিকের পরিবারের সাথে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসি চাদাবাজ দাঙ্গাকা রী কালাম মুন্সী, মোঃ রাসেল কামাল, মোঃ হানিফ বেপারী, এবং মমিন খান (চৌকিদার), এদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকার কারনে তার বাবা দেওয়ানি মোকাদ্দমা ৬১/১৫ আনয়ন করে। বাউফল বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত বিরোধীয় ভূমিতে স্থিতি
    অবস্থায় আদেশ দিলে মমিন চৌকিদার গং সাংবাদিক শাহীনকে গত ০১/০৫/২০১৫ তারিখে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এবং সাংবাদিক উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জি,আর ১৩৫/১৫ ইং একটি মামলা দায়ের করেন।

    উক্ত মামলাটি পি বি আই তদন্ত করে আমলে নিয়ে মামলায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন।
    এসময় মমিন চৌকিদার গং সহ অন্যান্য আসামীরা দীর্ঘদিন জেলহাজত থাকার পর
    হাইকোর্ট থেকে পরে জামিনে আসে তারা।

    স্থানীয়সুএে যানাযায়, সাংবাদিক শাহীনের সাথে বিগত দিন থেকে পূর্বপরিকল্পীত স্বরযন্ত্র ও হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত।উক্ত ঘটনার বিবরন বাউফল সহকারী জজ আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হলে আদালত বাউফল থানার ওসিকে ১৫১ ধারায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে স্থিতি অবস্থায় বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে।

    এসময় বাউফল থানার আসাবিগত ওসিরা আদালতের আদেশ তামিল করে আসছিলেন।
    কিন্তুু দেখামেলে বর্তমানে বাউফল থানার কর্মরত ওসি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আদালতের আদেশ তামিল না করিয়া মমিন চৌকিদার গংদের দ্বারা প্রলুব্ধ হইয়া তফসিল বর্ণিত ভূমিতে দুটি ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করে। উক্ত ঘটনা আই জি পি কে লিখিতভাবে জানানো হলে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বাউফল থানার ওসিকে তার কার্যালয়ে ডেকে সাংবাদিক শাহীনের সামনে সাবধান করে দেয়।

    উক্ত ঘটনায় ওসি সাংবাদিক শাহীনের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পায়তারা করছে বলে জানান ভুক্তভোগী। এদিকে মমিন চৌকিদারের সাথে সাংবাদিক শাহীনের বিরোধের সূত্র ধরে সুযোগ খুজতে থাকে। গত ২৪/১১/২০২০ইং এবং ২৯/১১/ ২০২০ইং তারিখে দুটি মামলার ধার্য্য তারিখ বহাল ছিল। যাহাতে উক্ত মামলায় সাংবাদিক শাহীন হাজির হইতে না পারে এহন অবস্থায় কোন মামলা এবং ওয়ারেন্ট না থাকা সত্ত্বেও বাউফল থানা পুলিশ শাহীনকে গ্রেফতার করে থানায় আনে বলে সূএেজানাযায়।

    এদিকে বিবাদীদের সাথে যোগসাজস করে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাংবাদিক শাহীনকে পটুয়াখালী জেলহাজতে প্রেরন করে।এছাড়াও সাংবাদিক শাহীনের বক্তব্যর মতে মিথ্যা মামলা নং জি আর ২৬৪/২০, জি আর ২৬৫/২০,জি আর ২৬৮/২০, উল্লেখ্য সাংবাদিক শাহীন গত ২২/১১/২০২০ইং তারিখ থেকে ০৬/০১/২০২১ইং জেলহাজতে ছিলেন বলে জানান।

    বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানাযায়, উল্লেখিত মামলায় সাংবাদিক শাহীনের কোন সম্পৃক্ততা বা যোগসাজশ নেই। উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে এলাকাবাসী আরও জানায় মমিন চৌকিদার থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে এলাকায় নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে বহুদিন যাবৎ।

    এমনকি মাহাফুজা নামের এক নারী দ্বারা অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। উক্ত মহিলাকে দিয়ে মমিন চৌকিদার সাংবাদিক শাহীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ব্যপারে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে (০১৭১৮৬৬৯১৬২) প্রতিবেদ’কে বলেন, মমিন চৌকিদারকে তিনি তার কুকর্মের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছিলেন এবং বাউফল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে শাসিয়ে ছিলেন ভবিষ্যতে যেন হাঙ্গা দাঙ্গামা মামলা মোকাদ্দমা এবং অনৈতিক কার্যকলাপ না করা হয়।

    পুলিশ সুপার বরাবর সাংবাদিক শাহীনের লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক আমার বার্তাকে জানান, আমি অভিযোগ সম্মন্ধে জানি
    না, আপনারা সাংবাদিকরা যা ভালো মনে করেন তাই লিখতে পারেন।

    এমতঅবস্থায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকের
    বাবা মোঃ মোসলেম উদ্দীন মৃধা দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠকে জানায়, উল্লেখিত মিথ্যা মামলার ব্যপারে আমি এবং এলাকার দুইশত জন স্বাক্ষরিত পৃথক অভিযোগ ডি আইজি বরিশাল বরাবরে দাখিল করেছি। যাহাতে
    মিথ্যা মামলাগুলো সুষ্ঠ তদন্তের জন্য পি বি আই কে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

    এছাড়াও প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীর পরিবারটি আতংকে দিনকাটাচ্ছে তাই উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ সহ প্রশাসনের জোড় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অসহায় পরিবারটি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ