প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২০ , ৩:১৯:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্যাদা(৩০) কে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে দৃর্বৃত্তরা। ৬ ঘন্টার মধ্যে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় ঘটনার সাথে জড়িত বশির চৌকিদার ও সোহেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
অদ্য ৫ নভেম্বর ২০ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘরিকার সময় প্রেস কনফারেন্সে এ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান। তিনি গ্রেফতারের বিষয়ে কথা বলেন, শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্যাদা পূর্ব টিয়াখালী ইউনিয়নের ফারুক প্যাদার ছেলে তাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি কেটে ফেলে।
গত ৪ নভেম্বর ২০ইং রোজ বুধবার রাত আনুমানিক ৮, ৩০ মিনিট এর সমায় মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে অন্ধকারে নির্জনস্থানে কতিপয় দুর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জেরধরে অতর্কিতভাবে হামলা করে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জুয়েল প্যাদার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে এবং ডান হাত কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এসময় খবর পেয়ে জুয়েল প্যাদার ভাই খোকন প্যাদা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে তাকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জুয়েল প্যাদাকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন। তার অবস্থা আশংখাজনক দেখতে পেয়ে আহত জুয়েলকে নিয়ে ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাজায়।
এদিকে পুলিশ সুপার এক প্রেস কনফারেন্সে জানান, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন, জুয়েল প্যাদা একজন জমি জমা ক্রয়-বিক্রয় মাধ্যম ছিলেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে অজপাড়ার নির্জন রাস্তার উপর একাকী পেয়ে ৪/৫ জন দৃর্বৃত্তরা জুয়েল প্যাদার উপর হামলা করে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে এবং ডান হাত কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে।
ঘটনার পর , পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল আাসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
এ অভিযানের এক পর্যায় রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন প্রত্যন্ত পূজাখোলা গ্রামে দুই কিলেমিটার কাঁদা রাস্তা হেঁটে বশির চৌকিদার ও সোহেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের নিকট থেকে হামলার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
সাথে থাকা সহযোগিদের গ্রেফতারের চেষ্টাসহ ঘটনার উদঘাটন এবং ঘটনা সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান এমনটাই জানান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ বেল্লালসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।