প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২১ , ১:৩৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীতে ১০৫ বৎসর বয়সী ছলেমান বিবির ভাগ্যে জোটেনি কোন সরকারি অনুদান!পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গজলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর হরিদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছলেমান বিবি। বয়স ১০৫ হলেও কপালে জোটেনি সরকারী কোন অনুদান,জোটেনি কোন বয়স্কভাতা।
জানাযায়,অভাবের তারনায় তিনি একবেলা ভালো খাবার ও চিকিৎসার জন্য সরকারি অফিসের দ্বারে দ্বারে গুরে বেড়াচ্ছেন।মেলেনী কোন সরকারি অনুদান। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সেই হতভাগা দুঃখিনী ছলেমান বিবির কথাই বলছি। ছলেমান বিবির বাড়ীতে গিয়ে দেখাযায়, তার স্বামী প্রায় ৩৫ বছর আগে মারা গেছে, ৩টি ছেলে ও দুটি মেয়ে রেখে গেছেন।
তার টানা পড়েন সংসারে অভাব অনাটনের মধ্যে দিয়ে খুব কষ্টকরে মেয়ে দুটোকে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন। দুই ছেলে তার মায়ের কোন খোজ খবর নেয়না, শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হলো বড় মেয়ে কহিনুর বেগমের বাড়িতে। কহিনুরের স্বামী একজন দিন মজুর, মাঠে কাজ করে তার সংসার চলে। ছেলে মেয়ে নিয়ে তার সংসারে অভাব লেগেই থাকে। এর মধ্যে তাকে শ্বাশুরির বোঝা বইতে হয়েছে,।
কহিনুরের স্বামী ফোরকান মিয়া বলেন, আমার শ্বাশুরি বর্তমানে অচল, চলাফেরা করতে পারেনা হামাগুরি দিয়ে চলাফেরা করে, টাকার অভাবে তাকে পারিনি একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে, নেই কোন চিকিৎসা, অভাবের সংসারে আমাদেরই চলাই এখন দুস্কর। মরন পথযাত্রি আমার শাশুরী যদি একটু সরকারি কোন ভাতা অথবা কোন সরকারি অনুদান পেত তা হলে হয়তো ওনার চিকিৎসা করাতে পারতাম।
ছলেমান বিবি জানায়,এই মানবতার মাতা, মাদার অফ হিউম্যানিটি,দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিনিত অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রধান মন্ত্রী আমার এই অসহায়ত্ব জেনে এই অসহায় ছলেমান বিবির প্রতি সহায়তার হাত বারিয়ে দিবেন এমনটাই আশা ব্যক্ত করেন তিনি।