প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২০ , ২:১৯:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীতে সর্বনাশা তেঁতুলিয়া নদী গিলে খাচ্ছে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়ন।
পটুয়াখালীর জেলার বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জনপথ, আবাদি জমি, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বনাশা তেঁতুলিয়া নদী গিলে খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই ভয়াবহ ভাঙ্গনে রুপ নেয়। গত ৫-৭ দিনে এ সর্বনাশা নদী ভাঙ্গনে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট ও নতুন বাজার এলাকার অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে গেছে ।
এখন এ এলাকার অধিকাংশ মানুষজন ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় সর্বনাশা তেঁতুলিয়া নদীর হিংস্র থাবায় ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে পশ্চিমে নতুন বাজার পর্যন্ত কয়েকশ হেক্টর আবাদি জমি, ঈদগা মাঠ, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ধুলিয়া লঞ্চ ঘাটের যাত্রী ছাউনি, বৈদ্যুতিক খাম্বাসহ বহু গাছগাছালি, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে
বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা ও ন্যাপ নেতা সৈয়দ আশরাফ আলীর কবর ও পৈত্রিক ভিটা বাড়িটিও হুমকির মুখে পড়েছে এখন ꫰ সর্বনাশা তেঁতুলিয়া নদী গিলে খাচ্ছে ধুলিয়া ইউনিয়ন, কাঁদছেন মানুষ।
স্থানীয় মান্না হাওলাদার নামের এক যুবক জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনের তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে ধুলিয়া বাজারে বিভিন্ন ধরণের ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে । এ বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর ভাঙ্গনের তীব্রতা এখন বেড়েই চলেছে ।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইতিপূর্বে নদীর তীরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে ꫰ গত বছর পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপিসহ স্থানীয় এমপি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ꫰ কিন্তু এখনও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায ভিটে-বাড়ি বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
এ ভাঙ্গনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই মানচিত্র থেকে ধুলিয়া ইউনিয়নটি হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।