প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৫১:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলা বদরপুর ইউপির খলিশাখালি গ্রামে গৃহবধূ হাফেজা (২০) যৌতুকের দাবিতে স্বামী জসিম সহ একই পরিবারের সকল সদস্য কতৃক
শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অমানবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাফেজা বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময়। এব্যাপারে কন্যা দায়গ্রস্ত হতদরিদ্র হাফেজার বাবা জামাল গাজী প্রতিবেদক’কে জানান, গত দু বৎসর আগে একলক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে দিয়েছিলাম মেয়ে হাফেজাকে। কিছুদিন ভালোই চলছিলো সাংসারিক জীবন। বৎসর না পেরুতেই শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ই সেপ্টেম্বর ২০ইং তারিখ বেলা ২ ঘটিকার সময় জসিম সহ তার পরিবারের অন্যান সদস্যরা মৃত্যুর উদ্দেশ্য শারীরিক নির্যাতন করে ঘরের আঙ্গিনায় বেধে রাখে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যাই এবং হাফেজাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানাযায়, স্বামী জসিম ও তার বাবা জলিল খাঁ যৌতুকের দাবিতে অটোরিকশা বাবদ তিনলক্ষ টাকার জন্য হাফেজা ও তার বাবা জামাল গাজীকে প্রেসার দেয়।
এখানেই ঘটনার সূতপাত। হাফেজার পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে তারা বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হবেন। তারা আরো বলেন এভাবে চলতে দেয়া যায় না। হাফেজা বর্তমানে এক সন্তানের জননী। আমারা গরীব মানুষ বিজ্ঞ আদালত ছাড়া আমাদের বাচার উপায় নেই। ঘটনার সত্যতা জানতে সরেজমিনে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টেরপেয়ে জসিম সহ-গোটা পরিবার আস্থে করে গা ঢাকা দেয়।
এবিষয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃমানিক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।