প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২০ , ১২:৫৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে টাকা আত্মসাৎতের দায়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালত কোর্টে রিয়াজ সিকদারের মামলা দায়ের!
পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ির পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট কোর্টে মামলা দায়ের। টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারনা মামলায় কোর্ট ওয়ারেন্ট প্রদান করেন।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কালীশুরী বন্দর এলাকার প্রতারনা ওটাকা আত্মসাৎ করায় মামলা দায়েরে শ্রী মনোরঞ্জন দাস(৩৫)কে ওয়ারেন্ট ইসু করেন পটুয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট,,,,,,,,,, ।
মামলা সূত্রে ও স্থানীয়সুএে জানায়ায়,ব্যবসায়ীক শ্রী মনোরঞ্জন দাস বিগত,৫ জুন তারিখ থেকে ৭ জুন, ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত অত্যান্ত সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছে কালীশুরী মের্সাস রিয়াজ এন্টার প্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে। যানাযায়, গত
এবিষয় বাদী মোঃরিয়াজ সিকদার বলেন, ,মনোরঞ্জন এক সময় আমার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। হিন্দু হলেও ওকে আমি অনেক বিশ্বাষ করতাম। আমার দোকানের মালামাল বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করত কালেকশনের টাকায় কখনো গরমিল করেনি।
হঠাৎ একদিন বলে আমি নিজেই ব্যবসা করতে চাই রিয়াজ ভাই তুমি আমারে যদি সহযোগীতা করতা এইমর্মে আমি মনোরঞ্জনকে এনজিও থেকে টাকা উক্তোলন করে দেই। তবে আলোচনা সাপেক্ষে লিখিত একটি এভিডেভিড এর মাধ্যমে ৫ জন সাক্ষী ১.মো,মজিবর রহমান সিকদার ২.মোঃরাসেল ৩.রফিক হাং ৪.রেজাউল ৫.হাসন উদ্দিন এর উপস্থিতিতে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। এবং লিখিত এভিডেভিড এ উল্লেখ আছে প্রতি সপ্তাহে ১৩ হাজার টাকা পরিশোধ করিতে হইবে,,,,সপ্তাহ। ২ কিস্তি পরিশোধের পর বাকী ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা নির্ধারিত সময় পরিশোধ না করায় প্রথমে বাউফল থানায় ১টি জিডি করি যার ডায়েরী নং ১২২৯।
পরে ২৯ অক্টোবর ২০ ইং তারিখে মনোরঞ্জন এর বিরুদ্ধে প্রতারনা মূলক ভাবে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ এনে এত ধারা,৪০৬/৪২০/ ধারায় একটি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-সি আর ২৬৮/২০২০ইং এ মামলায় ১.জন শ্রী মনোরঞ্জন দাসকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে শ্রী মনোরঞ্জন দাসের ব্যবহারকৃত মুঠোফোন ০১৭২৩১৯৩৯৩০ নাম্বারে ফোন করলে তিনি জানায়, আমি কখনোই রিয়াজের দোকানে কাজ করিনি এবং তার সাথে কোন প্রকার প্রতারনা করিনি তার সকল পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছি ২ লাক্ষে ৭ লাক্ষ দিয়েছি। রিয়াজ আমাকে সমাজে হেওপ্রতিপন্ন উদ্দেশ্য প্রোনিতভাবে এমনটা করছে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের তাই।এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে ফোনটি রেখে দেন।
উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে স্থানীয় জৈনিক ব্যক্তিরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়,আমরা এলাকার অনেকেই এ বিষয়টি জানি রিয়াজের দোকানে মনোরঞ্জন কাজ করতে। তাছাড়া রিয়াজ কোন সুদে না ভালবাসার খাতিলে মনোরঞ্জনকে টাকা দিছে এইডা নিয়া আমাগো ৪ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি একুব তালুকদার শালীশ বৈঠক করছে তয় রিয়াজেরে কোন টাকা পয়সা শালীশথেইকা দেয় নাই।আমরা এইডাই জানি।
এ বিষয় কালীশুরী ২ নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী মোঃ একুব তালুকদারের কাছে দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ,ও জাতীয় দৈনিক গনকন্ঠ সংবাদের প্রতিনিধি বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার সেল ফোন নাম্বারে ০১৭৩০৯১৮০৮০ ফোন করলে তিনি জানান,আমি এবং জেলাপরিষদের সদস্য বাদল সহ আরো কয়েকজন উপস্থিত থেকে শালিশ বৈঠকে রিয়াজের সকল পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ২ লক্ষ টাকায় ৪ লক্ষ টাকা সুদআসলে দেয়া হয়েছে।
হুমকী ধামকীর ব্যাপারে জানতে চাইলে জবাবে বলেন,ওসব কিছু না মিথ্যা বানোয়াট বলছে।এসময় তিনি আরো জানায়, আমরা থানায় গিয়েছি ওসির কাছে উল্টো রিয়াজ আসেনি।তবে ডিটডকুমেন্ট কখনোই হয়নাই। উল্লেখ্য একুব তাং প্রতিনিধিকে উল্টো বলেন আপনি যে সংবাদ প্রতিনিধি তার কি প্রমান আমি অনেক ব্যস্ত এই বলে ফোনটি কেটে দেন।
উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে কালীশুরী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃনেছার উদ্দিন জামাল সিকদার এর কাছে মুঠোফোন ০১৭১২০২২২৮৬ নাম্বারে ফোন করলে তিনি জানান,বিষয়টি আমি জানি তবে এর আগে স্থানীয় পর্যায় বসা হয়েছিল। তবে সর্বশেষে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।
গত ২৯ অক্টোবর রোজবৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট ২য় আদালতে মোঃশিহাব উদ্দীন এর আদালতে হাজির হয়ে বিবাদীর প্রতারনার সকল প্রমান পেয়ে শ্রী মনোরঞ্জন দাসকে ঐদিন ওয়ারেন্ট প্রদান করেন, এমনটাই বাদীর কাছে থেকে জানাযায়।.