প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১১:৪২:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার:
পটুয়াখালী সদর উপজেলা ভূরিয়া ইউনিয়নের ভায়লা ৫ নং ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কথিত পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে মোঃ রাসেল খানের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল সহ এলাকায় নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।
এরই ধারাবাহিক অদ্য ২রা সেপ্টেম্বর সকাল সারে ৮ টার সময় যুবগীগ নেতার কথিত পেটোয়া বাহিনী কতৃক ভুরিয়া ইউনিয়নের ভায়লা ৫ নং ওয়ার্ডে শাহিনুর বেগম(৪৮) এর পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, জমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে রাসেল বাহিনীর হামলায় ভোগ দখলীয় সম্পত্তির প্রকৃত মালিক শাহিনুর বেগমের ছেলে.মো,কবির ও তার ভাইয়ের ছেলে মন্জু হাওলাদার গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে আহতরা পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয় ভুক্তভোগী শাহিনুর বেগম (৪৫) বলেন, কথিত এই যুবলীগ নেতা এলাকায় আওয়ামী লীগের ব্যনার ব্যবহার করে দাপটে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে প্রতিনিয়ত। আমার বাবা মোঃ আফসের হাওলাদার তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ২৫ শতাংশ জমি আমাদের ৫ বোনের নামে লিখে দেয়। যার ফলে আমরা ৫ বোন ওই জমি ভোগদখল করে আসছি। এরই মাঝে গত ২৫ আগষ্ট জমিতে ধানের বীজ বপনের সময় যুবলীগ নেতা রাসেল খান (৩৫) ও তার সহদর হযরত খান সহ তাদের পেটোয়া বাহিনী রুবেল খান,কবির খান, আলামিন খান, রাসেদুল,অর্কো মুন্সী, রাহাদুল খলিফা সহ অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জনের সংঘবদ্ধ দল আমাদের জমিতে বীজতলা বিনষ্ট করে। এবং আমার ছেলে.কবিরসহ আমাকেও মারধর করে।
এ ব্যপারে আহত মন্জু হাওলাদার ঘটনার বরাত দিয়ে দৈনিক বরিশাল সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধির মুখোমুখি হলে তিনি জানান, আমার আত্নীয় অসুস্থ থাকায় তাকে আনতে গেলে অদ্য ২ রা সেপ্টেম্বর সকালে রাসেলের বাড়ীর সামনে থেকে আসার সময় রাসেলখান সহ তার পেটোয়া বাহিনী নিয়ে জিআই পাইপ,দেশীয় অস্ত্র লাঠীসোটা দারা আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাতে থাকে। এতে আমার মাথার মাঝ বরাবর ও কপালে গুরুতর আহত হই। এই রাসেলের অত্যাচারে গোটা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সঠিক বিচাারের দাবি জানাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল খান দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, আমি কোন মারামারি করিনি, আজ সকালে আমি পটুয়াখালী শিমুলবাগের বাসায় ছিলাম। মূলত আমি এই জমির শালীশদার ছিলাম,এ বিষয়টি আজকের নয় অনেক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। বাস্তবে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচন করবো এটা আমার বিরুদ্ধে গভির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এর বেশি কিছু না। আমি এসবের কিছুই জানিনা।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো, আল আউয়াল আকন বলেন,আমার ইউনিয়নে আমি পরিছন্ন রাজনীতি করি। এই রাসেল বাহিনী আসলেই উগ্র,থানার ওসি শালীশ ব্যবস্থা করতে বলেছিল,রাসেলবাহীনি সেটা উপেক্ষা করে কোর্টে মামলা করেছে। আমি ওসি সাহেবকে ফোন করে বলে দিয়েছি আপনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। রাসেলখানঁ যুবলীগের কেমন নেতা এমন প্রশ্নেরজবাবে তিনি বলেন, আমিও শুনছি ঐ ছেলে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তবে এবিষয় পৌর যুবলীগ নেতারাই ভাল বলতে পারবেন।
সার্বিক বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, তারা উভয় পক্ষ স্থানীয় শালিস ব্যবস্থার কথা বলে থানা থেকে চলে যায়। তাই উভয় পক্ষ কোন অভিযোগ নেয়া হয়নি থানায়। তাছাড়া একই ঘটনা নিয়ে পুনরায় মারামারি হয় এমন প্রশ্নের জবাবে, এস,আই হিরন সদর হাসপাতালে গিয়েছে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে জানান তিনি।