প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২০ , ৪:৪৫:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর শহরের এক সুন্দরী গৃহবধু ঘরে স্বামী- সন্তান রেখে পরকীয়ায় ফাঁদে ফেলে একের পর এক বিয়ে আর বিবাহ বিচ্ছেদে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে এলাকায় আলোচিত হয়ে উঠেছে। এদিকে তালাক দেয়া স্বামীর বিরুদ্ধে আবারও মিথ্যা অভিযোগ তুলে ফাঁয়দা লুটার অপচেষ্টার মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী সুত্র জানায়,জীবননগর পৌর শহরের বসতিপাড়ার হোসেন গাজীর কন্যা রুমানা আক্তার রিংকি গত কয়েক বছর আগে ঘরে স্বামী- সন্তান রেখে দৌলৎগঞ্জ কসাইপাড়ার এক যুবকের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে ওই যুবকের সাথে অজানা ঠিকানায় পাড়ি জমায়। এসময় বিপাকে পড়ে তার পরিবার ও স্বামী। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গুঞ্জনের খোঁরাক হয় এলাকাবাসির।
এদিকে ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুুজে বের করে এবং প্রথম স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিয়ে পুণরায় স্বামী করাতে সক্ষম হয়। একদিকে রিংকির স্বামী ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে বিদেশ পাড়ি দেন। আর এই সুযোগে স্ত্রী রিংকি আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তারা পরকীয়া প্রেমের এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের গোপন করে ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে ১৫ এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে এবারও গৃহবধু রিংকি তার পরকীয়া প্রেমের বিয়ের ব্যাপারটি বেশী দিন গোপন রাখতে পারেনি। ফলে বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ২৬ এপ্রিল উভয়পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এসময় দেনা পাওনার ব্যাপারটিও তারা চুঁকিয়ে নেয়।
মোস্তফা কামাল উজ্জল বলেন,আমরা উভয় পরিবারের লোকজন বসে সব কিছু চুড়ান্ত হওয়ার এক পর্যায়ে রিংকি এবং আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সে সময় রিংকি তার সমস্ত দেনা পাওনাও বুঝে নেয়। এখন আবার সে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আর্থিক ভাবে ফাঁয়দা লুটতে নানা ভাবে হুমকি ধামকী দিচ্ছে এবং মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতে আমি ও আমার পরিবার বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছি। রিংকির সাথে আড়াই বছর পরকীয়া সম্পর্ক চলার পর তার চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম। বিয়ের পর তাকে ভাড়ার বাড়ীতে রেখেছিলাম। আমি বিয়ের জানতে পারি দীলিপ নামের একটি ছেলের সাথেও তার সম্পর্ক ছিল। আমার সাথে বিয়ের খবরে দীলিপ অসন্তোষ এবং দীলিপের অনেকের নিকট অনুরোধ জানিয়েছে আমি যেন রিংকিকে ছেড়ে দিই।
জীবননগর বাজারের ব্যবসাী ফারক হোসেন ও সরোয়ার বলেন,উজ্জল- রিংকি পরোয়া সম্পর্ক করে বিয়ে করে। তাদের দু”পক্ষের স্ত্রী- স্বামী,সন্তান থাকায় দু”পক্ষের। ভুল বুঝতে পেরে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের উপস্থিতিতে তালাক হয়। সে সময় রিংকির কোন অভিযোগ ছিল না। পরে শুনছি পিংকি আবার উজ্জলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মামলা করার পাঁয়তারা করছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) ফেরদৌ ওয়াহিদ বলেন,গৃহবধু পিংকি তার সাবেক স্বামী উজ্জলের বিরুদ্ধে মারপিট করে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার লি্খিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি সাব- ইন্সপেক্টর হেলেনা আক্তার তদন্ত করছেন।
এব্যাপারে সাব- ইন্সপেক্টর হেলেনা আক্তার বলেন,আমার তদন্তে পিংকি কৌশলে তার সাবেক স্বামী উজ্জলকে তার নিকট ডেকে নেয়,তারই তাদের মধ্যে আবার বিরোধের সৃষ্টি হয়। তবে বিষয়টি উভয়পক্ষ আপস নিস্পত্তির পক্ষে। আপস নিস্পত্তি না হলে আইনি ব্যবস্থা।