প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২১ , ৩:৩৭:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়াক্ফ’র ৫৬২ শতাংশ সম্পতি উদ্ধার করতে নেমে নানাভাবে হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি মোঃ আমিনুল হক ভুইয়া রাজু নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার। তার মতে দানকৃত এই সম্পত্তি উদ্ধারে নেমে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু সহ নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয়েছে। তাই প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে এসব অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধানের জোর দাবি জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদধারী এই নেতা।
সার্বিক বিষয়ে মোঃ আমিনুল হক ভুইয়া রাজু জানান, আমাদের এখানে ওয়াক্ফ’র সম্পত্তি আছে ৫৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ২৭৭ শতাংশ অবমুক্তি এনেছে মতিন গংরা। সে মতে ২০১৬ সালের দলিল অনুযায়ী ওই সম্পত্তির মালিক হচ্ছে মেহেরুন বিবি। মেহেরুন বিবি ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। ওই সম্পত্তি এনে মতিন গংরা বিক্রি করে দিয়েছে। রাজু বলেন, এই ওয়াক্ফ’র সম্পত্তিগুলো উদ্ধারের জন্য আমি বিগত ২০০০ সালের নভেম্বরের ১১ তারিখে ওয়াক্ফ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত চিঠি দিয়েছি। তখন থেকেই মতিন গংরা আমার পিছনে লেগেছে। পরে বিভিন্নভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করায়।
ডিসেম্বরের ১২ তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ২নং ওয়ার্ডস্থ ৮টি মসজিদের কমিটি নিয়ে আমি মিটিং করেছি। ওই মিটিংয়ে মতিন উপস্থিত ছিল। সেখানে মতিন বলেছিল ওয়াক্ফ’র সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য যা যা করা লাগে সে করবে। যা আমার মোবাইলে রেকর্ড আছে। পরে আমি ওয়াক্ফ’র সম্পত্তিগুলোতে ৩টি সাইবোর্ড দিয়েছি যাতে প্রশাসন তদন্তে আসলে চিনতে সুবিধা হয়। পরে পিয়ার আলী আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে- আমি ভুমিদস্যু, আমি চাঁদাবাজ, উনার কাছে চাঁদা চেয়েছি। আমিও এর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছি।
তিনি বলেন, নাসির ভান্ডারির সাথে গত ৬ মাসে আমার সাথে কোথাও দেখা হয়নি। কিন্তু নাসির ভান্ডারী বলেছে আমাকে মাসে মাসে চাঁদা দেয়। আমার অনুরোধ, আমি যদি খারাপ হই তাহলে পত্রিকায় তোলেন। আমাকে নিয়ে যাতে ভালোভাবে একটা তদন্ত হয়। কারণ বার বার আমাকে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে, সম্মানহানী করা হচ্ছে। আমি মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক সহ সকল প্রশাসনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমি সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু কিনা এগুলো নিয়ে যেন তদন্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত। আমি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত, কাজী হাশেম আলী মাদ্রাসার সহ-সভাপতি, বায়তুল মামুর জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী, মিজমিজি দক্ষিণপাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশন মসজিদের সেক্রেটারী তথা আমি সামাজিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা-ই করছি। নিজের ব্যক্তিস্বার্থে কোন চাঁদাবাজি এবং মাদক-সন্ত্রাসীর সাথে সম্পৃক্ত না। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নাসির ভান্ডারী মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। ২০১৭ সালে ফখরুল সাহেব জেলে ছিলেন, ওই সময় বিএনপি সমর্থিত এই নাসির ভান্ডারী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দাড়িয়েছিল ফখরুল সাহেবের মুক্তির জন্য। এখন সে তাঁতীলীগে কীভাবে আসলো? এটা আমি আমাদের তাঁতীলীগের সংগঠনে অনুরোধ জানাচ্ছি, যেন তার বিষয়টা যাচাই-বাছাই করা হয়। এই লোকটা কি আসলেই আমদের লোক কিনা? আমাদের আওয়ামীলীগ সরকার ১২ বছর যাবৎ ক্ষমতায়। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মধ্যে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।