প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২১ , ২:৫৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর দীর্ঘদিনের প্রচেস্টার ফসল (রাস্তা সংস্কার) অঙ্কুরেই বিনস্ট হতে চলেছে। জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন, তারা যদি তাকে আবারো বিজয়ী করেন, তাহলে তিনি উপজেলার এক ইঞ্চি রাস্তা কাঁচা (মাটি) রাখবেন না। বিগত নির্বাচনে বিজয়ী হবার তিনি তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ শুরু করেছেন। একই সময়ে উপজেলার প্রায় ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে প্রায় শতকোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে এসেছেন। এর মধ্য সরণজাই-মোহর-দেবিপুর-বিলশহর-পাকুয়াহাট-ইলামদহী-দুবইল ভায়া প্রকাশনগর পর্যন্ত ১৭ দশমিক ২৯১ কিলোমিটার রাস্তা সাংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ৮১০ টাকা ২৫ পয়সা।এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পরে একই সঙ্গে এতো বিপুল পরিমাণ রাস্তা সংস্কার কাজের খবরে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃস্টি হয়েছিল। কিন্ত্ত রাস্তা সংস্কার কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে জনসাধারণের সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা উবে গেছে। অন্যদিকে রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর ছড়িয়ে পড়লে জনসাধারণের মধ্যে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি। সংশ্লিস্ট এলাকার জনসাধারণ স্টিমেট অনুযায়ী কাজের দাবিতে স্থানীয় সাংসদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ডাব্লিউ বিএম ও প্রাইম করার দীর্ঘদিন পর ভঙ্গুর বেডে কার্পেটিং করা হচ্ছে, আবার প্রায় ৭ কিলোমিটার দুর থেকে পাথর নিয়ে আশায় টেম্পার নস্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কার্পেটিং করা পাথর খেজুর পাটির মতো উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ এপ্রিল বৃহস্প্রতিবার সরেজমিন, সরনজাই-মোহর-দেবীপুর-প্রকাশনগর রাস্তার সরঞ্জাই সরকারপাড়া দেখা গেছে, কার্পেটিং করার একদিন পরই কার্পেটিং কাগজের মতো উঠে যাচ্ছে। তবে আবারো ভঙ্গুর বেডেই কার্পেটিং করা হচ্ছে, আর প্রায় ৭ কিলোমিটার দুর থেকে এসব পাথর নিয়ে আশায় টেম্পার নস্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজের কোনো তথ্য কোনো গণমাধ্যম কর্মীকে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি সংস্কার কাজের কোনো ভিডিও বা ফটো পর্যন্ত সাংবাদিকের তুলতে দেয়া হচ্ছে না।এছাড়াও রাস্তার নিউজ করলে উল্টো সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত এসব বিষয়ে কোন তথ্য দেয়া যাবে না।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার অসিমের এই নম্বরে ০১৭১২-৬৩১৯৮৯ কল করা হলে অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় বলেন, তার বিরুদ্ধে দু’টাকার পেপারে যা খুশি তায় লেখা হোক তার কিছুই হবে না।#