প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৪:০৮:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
সোনাগাজীতে এমপি মাসুদ চৌধুরী ও সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্যাহ এর নাম ভাঙ্গিয়ে সদর ইউনিয়নের থাক খোয়াজের লামছি ও চর খোন্দকার মোজায় ভুমি দখল ও মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ করেন সোনাগাজী উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম (প্রকাশ চুল্লা সিরাজ)
২২শে ফেব্রুয়ারী দিনব্যাপী সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট সংলগ্ন ফেনী নদী ও শাখা খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে ভূমি দখলের বিরুদ্ধে সোনাগাজী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় বাঁধ ভেঙে দিয়ে ৮ ঘন্টাব্যাপী চলা অভিযানে প্রায় ৪৬ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
সোনাগাজী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট জাকির হোসেন জানান- পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত জনৈক সিরাজুল ইসলাম কে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে ২টি মাটি কাটার এক্সেভেটর মেশিন জব্দ করা হয়, দুজন ড্রাইভারকে প্রশাসনের জিম্মায় নেওয়া হয়। দক্ষ পুলিশ ও আনসার টিমের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো জাকির হোসেন। এসময় উপজেলা ভূমি অফিস ও পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, সোনাগাজী উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বিভিন্ন জায়গায় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ও স্থানীয় এমপি মাসুদ চৌধুরী এবং সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্যাহ এর নাম ভাঙ্গিয়ে সোনাগাজীর সাহাব উদ্দিন মেম্বার, নিজাম উদ্দিন, সোহেল চাকলাদার, অপু চৌধুরী, মামুন হাজী সহ বিভিন্ন জনের ইজারাকৃত ও সরকারি খাস জমি জবরদখল করে মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ করেন। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ কিছু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আমার ভাড়ায় চালিত স্কাভেটর মেশিন আটক করে ও জরিমানা করে।