• Uncategorized

    অপরের জমি জবর দখলে নিতে না পেরে উল্টো জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের

      প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৬:১৫:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত এরশদুল্লাহর পুত্র সাবরাং এলাকার ইয়াবা পরিবার খ্যাত আবদুল গফুর ও তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে একই এলাকার মৃত জহির আহমদের ছেলে নাজির হোসাইন গংদের ক্রয়কৃত জমি জবর দখল করতে গিয়ে না পেরে উল্টো ক্রয় সূত্রে জমির মালিকের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একখানা মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    সূত্রে প্রকাশ, গত ৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টার সময় সাবরাং ইউনিয়নের থানা ব্রিজের পশ্চিম পাশে নাজির হোছাইন গংদের সাফ কবলা মূলে ক্রয়কৃত ০.১৭৬৭(শূন্য দশমিক এক সাত ছয় সাত) একর জমি বেআইনি জনতা সংঘটিত করে নির্মাণ সামগ্রী সহ জবর করতে গেলে, ক্রয় সূত্রে জমির মালিকদের পক্ষে নাজির হোছাইন গংদের জমিতে কি স্বত্ব মূলে জমি জবর করতে এসেছো জানতে চাইলে। জবর দখল করতে আসা আবদুল গফুর নাজির হোছাইনকে বলেন, এই জমি সিকদার পাড়ার উমর ছিদ্দিকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম হইতে ক্রয় করার কথা হয়েছে।

    সেই সুবাদে আবদুল গফুর গং নাজির হোছাইন গংদের জমি জবর দখল করতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আবদুল গফুর । নাজির হোছাইন গং জমির প্রকৃত মালিক আনোয়ারা বেগম স্বামী উমর ছিদ্দিক হইতে ক্রয় করেছে মর্মে টেকনাফ উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসের সাবরেজিস্টার স্বাক্ষরিত জমি ক্রয়ের নির্দ্দায় সাফ কবলা দলিলের ছায়া কপি দেখালে এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা পরিবারের কর্তা ভূমিদস্যু আবদুল গফুর ক্ষিপ্ত হয়ে।

    , এই সাফ বিক্রি কবলা সে মানেনা বলে ক্রয় সূত্রে জমির মালিকদের মধ্যে নাজির হোছাইনকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিলে, ইয়াবা গডফাদার আবদুল গফুরের ছেলে হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাজির হোছাইনকে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করতে চাইলে তখন নাজির হোছাইন নিজকে বাঁচানোর জন্য পেছনে সরে যায়।

    তখন হেলালের লাঠি  নাজির হোসাইনের পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় থাকা হেলালের পিতার আবদুল গফুরের মাথায় এসে লাগে। এতে আবদুল গফুর মারে বাপরে বলে চিৎকার করতে থাকে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জমি জবর দখল করতে আসা আবদুল গফুরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সংখ্যা বেশী থাকায়।

    জমির প্রকৃত মালিক প্রাণ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পাড়া প্রতিবেশী এবং ক্রয়কৃত জমির অন্যান্য অংশীদারেরা জড়ো হলে জবর দখল করতে আসা আবদুল গফুর এবং তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীরা পালিয়ে যায় বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যেক্ষদর্শিরা সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপরোক্ত বর্ণনা দেন।

    ইয়াবা গডফাদর আবদুল গফুর অপরের জায়গা জবর দখল করতে গিয়ে বিতাড়িত হয়ে উল্টো জায়গার প্রকৃত বৈধ মালিকদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানা একখানা মামলা দায়ের করেন। টেকনাফ থানার মামলা নং ১১/৯৩ /২০২১ ইংরেজী তারিখ। উক্ত দায়েরকৃত মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৪ জনকে আসামী করা হয়।

    এই ব্যপারে দায়েরকৃত মামলার বাদী বা অভিযোগকারী আবদুল গফুরের ছেলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমানে তার পিতা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। নাজির হোছাইন গংদের ক্রয় করা জায়গাটি তার পিতার ক্রয় করার কথা ছিল। তবে ক্রয় করা সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজ পত্র ক্রেতা আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে নেয়নি বলে জানিয়েছেন।

    শুধু মাত্র একটি নন রেজিস্ট্রার একটি কাগজ সম্পাদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি বৈঠক হয়েছিল সেই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের কাগজ আছে বলে জানালেও তার পিতার অসুস্থতার কথা বলে আমাদের প্রতিনিধিদের হাতে পৌঁছাতে পারেননি। পরে প্রদান করবেন এমনটা জানিয়েছেন।

    আমাদের প্রতিনিধি জায়গা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারেন, প্রকৃত পক্ষে জায়গাটির পূর্ব মালিক আনোয়ারা বেগমের সাথে আবদুল গফুরের কোন প্রকার জায়গা বিক্রি করার কাগজপত্র সৃজিত হয়নি বলে জানিয়েছেন। উভয় পক্ষের স্থানীয় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানা যায় আনোয়ারা বেগমের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী হিসাবে আছেন।

    স্বামীর অবর্তমানে অসহায় নারী আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে প্রতারণা করে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে মূলত আবদুল গফুর আনোয়ারা বেগমের ক্রয়কৃত জায়গাটি আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন। প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা আবদুল গফুরের কুমতলব সম্পর্কে জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ক্রয়কৃত জায়গাটি রক্ষা করেছেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনার সত্যতার বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা নিশ্চিত করেন।

    ইয়াবা গডফাদার আবদুল গফুর জায়গাটি অন্যজনদের বিক্রি করে দেওয়ার ফলে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ক্রেতা আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ক্রয়কারী মালিক নজির হোছাইন গংদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা করে উল্লেখিত জায়গাটি আত্মসাৎ করার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন। তারই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ মডেল থানায় ১১/৯৩ নং মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। বর্তমানে উক্ত মামলার এক নম্বর আসামী নাজির হোছাইনকে টেকনাফ থানা পুলিশ আটক করে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন বলে টেকনাফ থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    সূত্রে আরো প্রকাশ এক সময়ের সাবরাং এর সিকদার পাড়ার বাসিন্দা এরশাদুল্লাহর ছেলে মৌঃ আবদুল গফুর শাকসবজী বিক্রি করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতেন। মরণ নেশা ইয়াবার সুবাদে আবদুল গফুর রাতা রাতি কোটি পতি বনে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ১১৫১ জনের  তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিদের তালিকায়  আবদুল গফুরের ছেলে রাসেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে রাসেল কক্সবাজার কারাগারে আছে।

    মৌঃ আবদুল গফুর প্রকাশ ইয়াবা আবদুল গফুরের গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার সংবাদ পাওয়াই আমাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অনুসন্ধানী টিম সরজমিন উপস্থিত হয়ে প্রাপ্ত ঘটনার অনুসন্ধান করে পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। নিয়মিত চোখ রাখুন দৈনিক আলোকিত উখিয়া সংবাদপত্রে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ